ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ডনবাসের গুরুত্বপূর্ণ সোলদার শহর পুনর্দখল করেছে মস্কো। রাশিয়ার বেসরকারি বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভগিনি প্রিগোজিন স্থানীয় সময় মঙ্গলবার, ১০ই জানুয়ারি, এই দাবি করেন।
সোলদার দখলের ব্যাপারে এক অডিও বার্তায় প্রিগোজিন বলেন, সোলদার শহর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ওয়াগনার ইউনিট।
তিনি আরও বলেন, সোলেদার শহরের ওপর ওয়াগনার গ্রুপের সেনারা পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করলেও শহরের কেন্দ্রস্থলে এখনো যুদ্ধ চলছে এবং শহরের ভেতরে অজ্ঞাত সংখ্যক ইউক্রেনীয় সেনা আটকা পড়েছে।
আগামীকাল, বুধবার, ১১ই জানুয়ারি, তাঁরা আটক সেনাদের সংখ্যা প্রকাশ করবেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সোলেদার শহরের পতনে শুধুমাত্র ওয়াগনার গ্রুপের সেনারা অংশ নিয়েছে, অন্য কোনো ইউনিট অংশ নেয়নি।
এসময় ওয়াগনার সেনাদের সঙ্গে একটি ছবিও প্রকাশ করেন প্রিগোজিন।
এছাড়া গতকাল সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সোলেদার শহরের প্রশাসনিক ভবনের পাশে দাঁড়িয়ে আছে ওয়াগনার গ্রুপের দুই সেনাসদস্য।
যদিও রয়টার্স ও আল-জাজিরা বলছে, ইয়েভগিনি প্রিগোজিনের প্রকাশিত ছবি ও দাবির সত্যতা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। তবে ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলোর কর্মকর্তারা গেলো কয়েকদিন ধরে জানাচ্ছিলেন, সোলদারের পতন আসন্ন।
এর আগে গত সপ্তাহে প্রিগোজিন বলেছিলেন, সোলেদার শহর দখল করার উদ্দেশ্য ছিল না, কিন্তু ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞের হাত থেকে শহরটিকে রক্ষা করতে এবং যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের সেনাদের সক্ষমতা কমানোর লক্ষ্যে শহরটি দখল করা হবে।
অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত রোববার স্বীকার করেছিলেন যে, সোলেদার শহরের পরিস্থিতি খুব কঠিন। তবে তখন তিনি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিলেন- যাই ঘটুক না কেন ইউক্রেনের সেনারা শহরের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখবে।
এদিকে সোলদার থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বাখমুত শহর দখলেও সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে রুশ সেনারা।
ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা বলছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার কথিত অভিযানে এখন সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ।