মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সদর দফতর পেন্টাগন থেকে মার্চ মাসে গোপন সামরিক দস্তাবেজ ইন্টারনেটে ফাঁস হওয়ার ঘটনায় মার্কিন সরকারের তদন্তকারী সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) জ্যাক টেইক্সেরিয়া (২১) নামক এক বিমান বাহিনীর কর্মী কে গ্রেফতার করেছে। ফাঁস হওয়া পেন্টাগন নথিগুলো তিনিই প্রথম ইন্টারনেটের একটি চ্যাট সাইটে প্রকাশ করেন বলে অভিযোগ করেছে তদন্তকারীরা।
জানা যাচ্ছে টেইক্সেরিয়া মার্কিন বিমান বাহিনীর গুপ্তচর বিভাগের ১০২ নং ম্যাসাচুসেটস এয়ার ন্যাশনাল গার্ডে কর্মরত ছিলেন। তিনি এই সংস্থার সামরিক যোগাযোগ বিভাগে একজন প্রযুক্তিবিদ হিসাবে কর্মরত ছিলেন তাই তাঁর সামরিক দফতরের নেটওয়ার্ক, প্রযুক্তি ও তথ্যের সম্পর্কে যেমন জ্ঞান ছিল তেমনি নানা তথ্য ঘাঁটার সরকারি ছাড়পত্রও ছিল।
যদিও টেইক্সেরিয়া কে মার্কিন গোয়েন্দারা গ্রেফতার করেছে, কিন্তু ফাঁস হওয়া পেন্টাগন নথিগুলো এর মধ্যে সারা বিশ্বেই প্রচার হয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে মার্কিন সরকার ও সামরিক কর্তারা ভীষণ চাপে পড়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই ফাঁস হওয়া দস্তাবেজ গুলোর বেশির ভাগই নাকি রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষে মার্কিন ভূমিকা, ইজরায়েল, চীন ও অন্যান্য দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। এর সাথে এই দলিলগুলোতে কী ভাবে মার্কিন গুপ্তচরেরা রাশিয়া ও চীনের সামরিক তথ্য চুরি করছে সেই বিষয়েও নাকি বিশদ বিবরণ আছে।
ফাঁস হওয়া পেন্টাগন নথিগুলো কেমন করে টেইক্সেরিয়া ছড়ালেন দুনিয়ায়?
সংবাদ সূত্রে জানা যাচ্ছে যে মার্কিন সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকান্ডের এবং বিদেশের, বিশেষ করে ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান সংক্রান্ত ও চীন সংক্রান্ত নানা তথ্য বিগত কয়েক মাস ধরে টেইক্সেরিয়া ডিস্কর্ড সার্ভারে একটি গ্রুপে শেয়ার করেন। এই গ্রুপে মূলত অল্পবয়সী ছেলে-মেয়েরাই সদস্য যাঁরা নাকি কোভিড অতিমারীর সময় থেকে সমাজের থেকে ও নিজেদের বন্ধুদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এই চ্যাট সাইটে সময় কাটাতেন।
গত কয়েক মাস ধরে প্রায় মার্কিন সামরিক দফতরের ৩০০টির উপর গোপন নথি টেইক্সেরিয়া ডিস্কর্ড গ্ৰুপে প্রকাশ করেন। এর মধ্যে অনেক নথির আসল কপি ও ফটো যেমন আছে, তেমনি মার্কিন সরকারের নানা গুরুত্বপূর্ণ নথি মুখস্থ করে এসে তার বিবরণ লেখা হয়েছে। যদিও এই ঘটনার পিছনে এখনই কোনো বিদেশী গুপ্তচর সংস্থার হাত আছে বলে স্বীকার করেনি মার্কিন সরকার তবে মনে করা হচ্ছে যে ডিস্কর্ড গ্রুপটিতে তিনি মার্কিন সরকারের দ্বারা নাগরিকদের উপর গোপনে নজরদারি চালানো ও নানা ভাবে বিদেশে অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত হওয়ার ব্যাপার নিয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করতেন।
এখনো পর্যন্ত মনে করা হচ্ছে যে ব্যক্তিগত বীরত্ব প্রদর্শন করার জন্যে এই মার্কিন যুবক সামরিক বাহিনীর গোপন সমস্ত নথি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়। তবে এই ঘটনায় টেইক্সেরিয়া একাই ছিলেন, না তাঁর সাথে আরও অন্য কেউ ছিল, সে কথা জানা যায়নি। তবে তাঁর মতন একজন তরুণের হাত দিয়ে মার্কিন সরকারের সর্বোচ্চ স্তরের গোপন তথ্য বাইরে ফাঁস হয়ে যাওয়ায় রীতিমত বিব্রত হয়েছে ওয়াশিংটন ডিসি।
কী আছে ফাঁস হওয়া পেন্টাগন নথিগুলোয়?
ফাঁস হওয়া পেন্টাগন নথিগুলোতে মূলত এনএসএ, সিআইএ, ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (ডিআইএ), ডিইএ এবং ন্যাশনাল রিকনেসান্স অফিস (যা মার্কিন গুপ্তচর উপগ্রহ পরিচালনা করে) দ্বারা সংগৃহীত ইন্টেল, বা গোপন তথ্য, রয়েছে। এই তথ্যগুলোর বেশির ভাগ নানা দেশ থেকে মার্কিন চরদের পাঠানো তথ্য। তার সাথে আবার নানা বেআইনী পথে মার্কিন সরকারের দ্বারা সংগ্রহীত তথ্যও রয়েছে।
এই গোপন নথিগুলোর থেকে শুধুই যে মার্কিন ‘শত্রু’ হিসাবে চিহ্নিত রাশিয়া বা চীন সংক্রান্ত ওয়াশিংটনের উদ্বেগ বোঝা যায় তাই নয়, তথাকথিত মার্কিন ‘মিত্র’ শক্তিগুলোর কর্ণধারদের প্রতি ওয়াশিংটন ডিসির গভীর অবিশ্বাসও ফুটে বের হয়। বলা হচ্ছে ২০১৩ সালে নিজের নাগরিকদের উপর ও বিশ্বের নানা দেশের সরকার ও নাগরিকদের উপর মার্কিন চরবৃত্তির তথ্য ও প্রমাণ ফাঁস করে দেওয়া এডওয়ার্ড স্নোডেনের পরে টেইক্সেরিয়ার ফাঁস করা নথিগুলো ভীষণ ভাবে মার্কিন সরকারের সাথে বিদেশী শক্তিদের সম্পর্ক কে প্রভাবিত করতে পারে।
দেখে নেওয়া যাক এই ফাঁস হওয়া পেন্টাগন নথিগুলোয় কোন কোন দেশের ব্যাপারে কী কী গোপন তথ্য আছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান নিয়ে
পশ্চিমা বিশেষজ্ঞদের মতে, ফাঁস হওয়া পেন্টাগন নথিগুলোর তথ্যগুলো কে বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে মার্কিন ও পশ্চিমা সরকারগুলো বারবার মিথ্যা তথ্যের আশ্রয় নিয়ে ইউক্রেনের ক্ষয়ক্ষতি কে অসম্ভব রকমের কম করে দেখিয়েছে আর অন্যদিকে রাশিয়ার ক্ষয়ক্ষতি কে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়েছে। ফলে যুদ্ধের আসল চিত্র সম্পর্কে জনমানসের ধারণা সম্পূর্ণ বদলে যেতে পারে এই তথ্যগুলো মানুষের নাগালে থাকলে।
এর সাথেই ফাঁস হওয়া নথিগুলোর থেকে জানা যাচ্ছে যে রাশিয়ার বেসরকারি ওয়াগ্ন্যার বাহিনী এবং রাশিয়ার গুপ্তচর সংস্থা জিআরইউ-এর মধ্যে মার্কিন চরেরা অনুপ্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে ও ভিতর থেকে সংস্থাগুলোর গোপন তথ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কে তারা পাঠাতে পারছে। তবে এই রকম ভাবে চরবৃত্তি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আখেরে কী বস্তুগত লাভ হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
তবে এই ফাঁস হওয়া পেন্টাগন নথিগুলোর মধ্যে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ ২০২৩-এর কিছু নথির থেকে জানা যাচ্ছে যে ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়ার জন্যে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট ও ন্যাটো-অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো ৯৭টি বাহিনী পাঠিয়েছে। এর মধ্যে ৫০টি ব্রিটেনের বাহিনী। ব্রিটেনের বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষিত এলিট ফোর্স এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করছে এই কথা আগে যুক্তরাজ্যের সরকার স্বীকার করলেও তাদের সংখ্যা ও অবস্থান নিয়ে কোনো তথ্য জনগণ কে দেওয়া হয়নি।
তবে শুধুই ব্রিটেন নয়, এরই সাথে ফ্রান্সের ১৫টি ও মার্কিনিদের ১৪টি বাহিনী সেখানে মোতায়েন আছে বলে জানা গেছে এই ফাঁস হওয়া পেন্টাগন নথিগুলোর থেকে। এর ফলে মার্কিন সরকারের রাশিয়ার সাথে সম্মুখ সমরে জড়িয়ে পড়ার ঘটনাও প্রকাশ্যে এল, যে অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে মস্কো করে আসছে।
এই নথিগুলোর থেকে ইউক্রেন নিয়ে সবচেয়ে ভয়ানক যে তথ্য জনসমক্ষে এসেছে তার থেকে জানা যাচ্ছে যে সেই দেশের পশ্চিমা-সমর্থিত রাষ্ট্রপতি ভোলোদিমির জেলেনস্কি কে একটুও ভরসা করে না ওয়াশিংটন ডিসি। বরং এই ‘মার্কিন পুতুল’ বলে অভিযুক্ত রাষ্ট্রপতির টেলিফোনে হওয়া সমস্ত আলোচনাতে আড়ি পাতে মার্কিন গুপ্তচরেরা ও তার সরকারি কাজকর্মের উপরও তীক্ষ নজরদারি চালানো হয়।
চীন সংক্রান্ত গোপন তথ্য
চীন সংক্রান্ত গোপন তথ্যে উঠে এসেছে যে গত ২৩শে ফেব্রুয়ারি চীনা কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশন ও রাশিয়ার সামরিক বিভাগের মধ্যে আলোচনায় মার্কিন গুপ্তচরেরা আড়ি পেতে জানতে পেরেছে যে বেজিং মস্কোকে অসামরিক পণ্যের রফতানির আড়ালে গোপনে অস্ত্র পাঠাবে ও কোনো ভাবে রাশিয়া ন্যাটো বা মার্কিন-নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোটের দ্বারা সরাসরি আক্রান্ত হলে চীন সেই সময় রাশিয়া কে সরাসরি সামরিক সহায়তা প্রদান করবে।
এই নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে চীনা বিদেশ মন্ত্রী কিন গাং শুক্রুবার, ১৪ই এপ্রিল, বেজিং এ সাংবাদিকদের জানান যে চীন এই সংঘাতে কোনো পক্ষকেই অস্ত্র সরবাহ করছে না এবং একমাত্র দুই ধরণের ব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তিই রফতানি করবে।
ফাঁস হওয়া পেন্টাগন নথিগুলোর মধ্যে চীনের তাইওয়ান নীতি নিয়ে বা সেই সংক্রান্ত কোনো তথ্য নেই। তবে যা পাওয়া গেছে যে মার্কিন গুপ্তচরেরা চীনের সাথে অন্যান্য দেশের নানা ধরণের আলোচনায় সিগন্যাল ইন্টারসেপ্ট করে আড়ি পাতে। এর সাথে, মার্কিন গুপ্তচরেরা চীনা বিমান বাহিনী ও নৌ বাহিনী সমেত চীনা গণমুক্তি ফৌজের প্রযুক্তিগত বিষয়গুলোর উপরও নজরদারি চালাচ্ছে।
জানা গেছে যে ২৫শে ফেব্রুয়ারি চীনের ডিএফ ২৭ নামক মধ্যবর্তী পরিসরের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র-শ্রেণীর বহু-ভূমিকা পালনকারী হাইপারসনিক গ্লাইড যানের পরীক্ষামূলক উড়ানের উপর মার্কিন গুপ্তচরেরা বিশেষ করে নজর দিয়েছিল। এর সাথে, গণমুক্তি ফৌজ নৌবাহিনীর ইউশেন এলএইচএ-৩১ হেলিকপ্টার বহনকারী অ্যাসল্ট জাহাজের মোতায়েন নিয়েও মার্কিন গুপ্তচরেরা নজরদারি চালিয়েছে।
মিশর সংক্রান্ত তথ্য
ফাঁস হওয়া পেন্টাগন নথিগুলোর থেকে জানা গেছে যে মিশর রাশিয়াকে গোপনে রকেট ও গোলাবারুদ সরবাহ করার পরিকল্পনা করছে। ১৭ই ফেব্রুয়ারি মিশরের রাষ্ট্রপতি আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি সামরিক বাহিনীর সাথে গোপন আলোচনায় এই নিয়ে প্রস্তাব দিয়েছেন বলে মার্কিন গুপ্তচরেরা আড়ি পেতে জানতে পেরেছে।
সংযুক্ত আমিরশাহী সংক্রান্ত
ফাঁস হওয়া গোপন নথির থেকে জানা গেছে যে রাশিয়ার গুপ্তচরেরা নাকি আনন্দ প্রকাশ করেছে যে তাঁরা আমিরশাহীর গুপ্তচর বাহিনী কে মার্কিন ও যুক্তরাজ্যের গুপ্তচরদের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্যে রাজি করাতে পেরেছে। এই ঘটনা কে অবশ্য আমিরশাহীর সরকার নস্যাৎ করেছে। তবে সম্প্রতি রাশিয়া আর চীনের সাথে আমিরশাহীর মতন মার্কিন ‘মিত্র’ দেশের ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পেয়েছে যা ওয়াশিংটন ডিসি ভাল ভাবে দেখছে না।
দক্ষিণ কোরিয়া সংক্রান্ত
মার্কিন ‘মিত্র’ হিসাবে পরিচিত আরও একটি দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার উপর নজরদারি চালানো গোপন তথ্যও এই ফাঁস হওয়া মার্কিন দস্তাবেজে প্রকাশিত হয়েছে। জানা গেছে মার্কিনদের দক্ষিণ কোরিয়ার উপর তার জাতীয় নীতি উপেক্ষা করে ইউক্রেন কে অস্ত্র সরবাহ করার জন্যে চাপ দেওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন সে দেশের রাষ্ট্রপতি ইউন-সক ইয়ল।
ইজরায়েল সংক্রান্ত
মধ্য প্রাচ্যের মার্কিন সমর্থিত শক্তি ইজরায়েলে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিচারব্যবস্থা সংস্কার বিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শনে নাকি উদ্যোগী হয় সেই দেশের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ। তবে ইজরায়েল এই ঘটনা কে অস্বীকার করে বলেছে এই বিক্ষোভের সাথে মোসাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
ফাঁস হওয়া পেন্টাগন নথিগুলোর ফলে কী ভাবে প্রভাবিত হবে বিশ্ব?
যদিও মার্কিন সরকার টেইক্সেরিয়া কে গোপন তথ্য প্রকাশের অভিযোগে গ্রেফতার করতে পেরেছে এবং মার্কিন মূলস্রোতের সংবাদ মাধ্যমগুলো সরকারের গোপন নথিগুলোর মূল বিষয়গুলো জনগণের থেকে আড়াল করতে সক্ষম হয়েছে, তবুও যেহেতু ২০১৩ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বিশ্বে ইন্টারনেটের ব্যবহারকারীদের সংখ্যা অনেক বেশি, তাই সেই সব তথ্য কে স্নোডেন দ্বারা ফাঁস করা তথ্যের মতন সহজে ওয়াশিংটন ডিসি গোপন করতে পারবে না।
এর মধ্যে মার্কিন ‘মিত্র’ শক্তির উপর নজরদারির যে সব তথ্য জনসমক্ষে এসেছে তার থেকে বোঝা যাচ্ছে যে চীন, ভারত, রাশিয়া, ব্রাজিল সহ বিশ্বের তাবড় দেশগুলো যখন মার্কিন নেতৃত্বাধীন একমেরুর বিশ্বব্যবস্থার অবসান চেয়ে একটি বহুমেরুর, বহুপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তিতে বিশ্বব্যবস্থা গড়তে চাইছে, তখন এই ভাবে হাটের মাঝে হাঁড়ি ভেঙে যাওয়ায় যথেষ্ট বিড়ম্বনায় পড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ফাঁস হওয়া পেন্টাগন নথিগুলো যদিও কোনো বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করেনি, কিন্তু এর ফলে উপলব্ধ হওয়া তথ্য দেখাচ্ছে যে মার্কিন সরকার বর্তমান বিশ্বে যেমন চাপে রয়েছে তেমনি ভুল তথ্য দিয়ে রাশিয়ার ইউক্রেনে সামরিক অভিযান সম্পর্কে নিজের দেশের ও বিশ্বের মানুষ কে আসল পরিস্থিতি সম্পর্কে অজ্ঞাত রাখছে। তবে আগামী দিনে এই ৩০০-র উপর দস্তাবেজ থেকে আরও কী কী তথ্য প্রকাশ্যে আসে সেটা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে বিশ্ব।