ফিলিপিন্স ফিফা মহিলা ফুটবল বিশ্বকাপে বড় জয় পেল। আয়োজক দেশ নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় হাসিল করেছে তারা। এদিকে কলম্বিয়া হারিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়াকে। অন্য দিকে সুইৎজ়ারল্যান্ড-নরওয়ে ম্যাচ ড্র হয়েছে। ১-০ গোলে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে জিতেছে ফিলিপিন্স। অন্য দিকে দক্ষিণ কোরিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়েছে কলম্বিয়া। যদিও পয়েন্ট নষ্ট করতে হয়েছে সুইৎজ়ারল্যান্ডকে। নরওয়ের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করেছে তারা।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে গোল করেছেন ক্যানসার থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা লিন্ডা কাইসেডো। বিশ্বকাপে নিজের অভিষেক ম্যাচেই গোল করেছেন তিনি। ৩০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে কলম্বিয়াকে এগিয়ে দেন ক্যাটেলিনা উসমে। দ্বিতীয়ার্ধে তার পরিবর্তে নামেন লিন্ডা। একক দক্ষতায় গোল করেন তিনি। মাঝমাঠে বল পেয়ে কয়েক জনকে কাটিয়ে বক্সের মাথা থেকে বাঁ পায়ের বাঁক খাওয়ানো শটে গোল করে খেলা মাতিয়ে দেন তিনি। যদিও গোটা ম্যাচে একটাই গোল করার ভাল সুযোগ পেয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। কিন্তু সেই সুযোগ ফস্কান লি জিয়াম মিন। অন্য দিকে ব্যবধান বাড়াতে পারত কলম্বিয়াও। কিন্তু সেই সুযোগ নষ্ট করে তারা।
আয়োজক দেশ নিউ জ়িল্যান্ডকে চমকে দিয়েছে ফিলিপিন্স। বিশ্বকাপে প্রথম গোল করেছে তারা। বিশ্বকাপের ওপেনিং ম্যাচে নরওয়েকে হারিয়ে চমক দিয়েছিল নিউ জিল্যান্ড। কিন্তু এই চমক বেশি দিন রাখতে পারলোনা তারা। ২৪ মিনিটের মাথায় ফিলিপিন্সের হয়ে গোল করেন সারিনা বোল্ডেন। গোটা ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের কাছেই বলের ৮০ শতাংশ দখল ছিল। গোলে শটও তারাই বেশি মেরেছে। কিন্তু কোনোভাবেই গোলের মুখ খুলতে পারেননি খেলোয়াড়রা। একটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়েছে। একটি গোল পোস্টে লেগে ফিরেছে। শেষ পর্যন্ত হেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছে নিউ জিল্যান্ডকে। এই দিকে সুইৎজারল্যান্ড বনাম নরওয়ে ম্যাচ ড্র হয়েছে। যে কোনও দুই দল পরের রাউন্ডে যেতে পারে। গোটা ম্যাচে খুব বেশি গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি দুই দলের কোনোটিই। এলোমেলো খেলায় শেষে পয়েন্ট খোয়াতে হয়েছে দু’দলকেই।
গ্রুপ এ-তে সবার উপরে সুইৎজারল্যান্ড। ২ ম্যাচ খেলে তাদের পয়েন্ট ৪। নিউ জিল্যান্ড ও ফিলিপিন্সের পয়েন্ট ২ ম্যাচ খেলে ৩। নরওয়ের পয়েন্ট ২ ম্যাচ খেলে ১। শেষ ম্যাচে ফিলিপিন্সের সামনে নরওয়ে। অন্য দিকে এবার সুইৎজারল্যান্ড-নিউ জিল্যান্ড মুখোমুখি। ফলে এবার অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষ ফিলিপিন্স-এর। তারা জিতে গেল সুইৎজারল্যান্ড ও নিউ জিল্যান্ডের মধ্যে যেকোনো একটি দল ছিটকে যেতে পারে প্রতিযোগিতা থেকে।