মঙ্গলবার ২০ জুন থেকে এই বৃষ্টি-র পরিমাণ আরও বাড়বে। ২১ জুন বুধবার দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই বজ্রপাত-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মতোই সোমবার সকালে স্বস্তির বৃ্ষ্টির মুখ দেখল দক্ষিণবঙ্গ। কলকাতা-সহ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায় ভোর থেকেই কালো মেঘে ঢেকে ছিল আকাশ। সকাল থেকেই হচ্ছে বৃষ্টি। আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, দক্ষিণবঙ্গের এই জেলাগুলিতে এই সপ্তাহের শুরুতেই অর্থাৎ আজ সোমবার থেকে বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবার ২০ জুন থেকে এই বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে। গত দিন চারেকের বেশি সময় ধরে মৌসুমী বায়ু মালদায় এসে থমকে ছিল। এবার তা ধীরে ধীরে এগোতে শুরু করেছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে আগামী দু থেকে তিন দিনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গ সহ প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ড ও বিহারে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং মুর্শিদাবাদের কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
যদিও পশ্চিমের জেলাগুলিতে এখনও দু-একদিন তাপপ্রবাহ চলবে। পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম জেলায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবারের পরে দক্ষিণবঙ্গের আর কোথাও তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই। আজ থেকে দক্ষিণ বঙ্গের পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
এদিকে মৌসুমী বৃষ্টি সিকিমে বিপর্যয় সৃষ্টি করে চলেছে। পশ্চিম সিকিমের বেশির ভাগ অংশে অতিবৃষ্টির ফলে নামছে ধস। উত্তরে সোপাখা, ডেন্টাম এবং সোমবাড়িয়ার মতো জায়গাগুলো বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে রাস্তা, ব্রিজ। ভেসে গিয়েছে মাছ চাষের পুকুর, মুরগির খামার। যদিও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হলেও, মানুষের জীবনহানি হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। সিকিমের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলার পর্যটকদের ভারতীয় সেনার সহযোগিতায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষকে বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।