গোটা দেশে ৫০টি মেডিকেল কলেজ-এর অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আর সেই ৫০টি মেডিকেল কলেজের মধ্যে দুটি হবে বাংলায়।
সূত্রের খবর, মেডিকেল কলেজগুলির হবে কলকাতার কাছেই সেক্টর ফাইভে। অপর মেডিকেল কলেজটি হবে নদিয়ার চাকদায়।
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, গুজরাট, হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মীর, মধ্য়প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, ওড়িশা, কর্নাটক, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ মহারাষ্ট্রে এই মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সব থেকে বেশি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন হয়েছে তেলেঙ্গানায়। সেখানে এই পর্বে ১৩টি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
বাংলায় অনুমোদিত দুটি মেডিকেল কলেজ থেকেই এমবিবিএস কোর্স করা যাবে। সব মিলিয়ে এই মেডিকেল কলেজগুলিতে আসন সংখ্যা থাকবে ১৫০টি করে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে রাজ্যে মেডিকেল কলেজে আরও ৩০০টি আসন বাড়তে চলেছে। একটি একেবারে কলকাতার কাছেই। অপরটি জেলা স্তরে। তবে এই দুই মেডিকেল কলেজ চিকিৎসা ক্ষেত্রে কতটা সুপ্রভাব ফেলবে তা নিয়ে দ্বিধা থাকছেই।
প্রসঙ্গত, সল্টলেকের মেডিকেল কলেজটি একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনায় চলবে। নদিয়ার মেডিকেল কলেজটি পিপিপি মডেলে চলবে বলে জানা যাচ্ছে। একটি ভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে দ্বিতীয় মেডিকেল কলেজটি ত্রাস্টের মাধ্যমেও চলতে পারে।
এর পূর্বে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণ নিয়ে সরব ছিলেন চিকিৎসক মহলের অনেকেই। তাঁদের অভিমত, বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বা মেডিকেল কলেজ সংবিধানের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বাস্থের উপর আঘাত হানছে। বাস্তবেই বেসরকারিকরণ বা স্বাস্থের মতো বুনিয়াদি পরিসেবা ক্ষেত্রকে মুনাফার সঙ্গে যুক্ত করায় এই মৌলিক অধিকারের অসমবন্টন বাড়বে বলে মনে করছেন অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের মধ্যে একাংশ।