মাথা থেকে প্রেমের ভুত ঝাড়তে গিয়ে ভুতের সাথেই পলায়নের নজির বানালো মধ্যপ্রদেশের তরুনী। বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা ওই তরুণীকে দ্য কেরালা স্টোরি দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল মেয়েটির মুসলিম প্রেমিকের থেকে তাকে আলাদা করা। কিন্তু ফল হল উল্টো! কেরালা স্টোরি দেখে সেই মুসলিম প্রেমিকের সাথেই পালালেন ওই তরুণী।
প্রসঙ্গত, ওই তরুণী পেশায় নার্স। ইউসুফ (তরুণীর প্রেমিক)-এর সাথে তার সম্পর্ক বহু দিনের। এই সম্পর্ক ভাঙার জন্য পারিবারিক চাপ ছিল তরুণীর উপর, কিন্তু তার মন ফেরানো যায়নি। ১৯ বছরে্য ওই তরুণীর মাথা থেকে ‘লাভ জেহাদ’ এর ভুত নামাতে কত না চেষ্টা করেছিলেন প্রজ্ঞা ঠাকুর। অবশেষে তাকে ‘সুপথে’ ফিরিয়ে আনতেই কেরালা স্টোরি দেখানোর প্রকল্প নিলেন প্রজ্ঞা জী। ভেবেছিলেন ‘সত্য ঘটনা’ দেখে মেয়ের মন বদলাবেই। কিন্তু এতে ফল হল উল্টো। সব প্রচেষ্টায় জল ঢেলে নিজের মনের কথা শুনলেন ওই তরুণী। বিয়ের ঠিক আগেই পালিয়ে গেলেন প্রেমিকের সাথে।
ভোপালের এই তরুণীর মন যে কেরালা স্টোরি দেখার পরও বদলায়নি, তা সম্ভবত বুঝে উঠতে পারেননি তাঁর ‘শুভাকাঙ্খিরা’। পরিবারের পছন্দ করা পাত্রের সঙ্গে, বলা বাহুল্য ‘হিন্দু’ পাত্রের সঙ্গে তাঁর বিয়ে ঠিক করে ফেলা হয়। গত ৩০ মে ছিল বিয়ের দিন। কিন্তু তার ঠিক আগেই প্রেমিক ইউসুফের সঙ্গে পালিয়ে যান তরুণী। এর পরেই তরুণীর পরিবারের লোকেরা থানায় মেয়ের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। অভিযোগ করেন, ‘মিষ্টি মিষ্টি’ কথা বলে বাড়ির মেয়েকে ‘ফুসলিয়ে’ পালাতে বাধ্য করেছেন ইউসুফ। ঠিক যেমনটা ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিতে উপস্থাপন করার চেষ্টা হয়েছে। এ ছাড়াও ইউসুফের বিরুদ্ধে আরও বিভিন্ন অভিযোগ আনে তরুণীর পরিবার। অভিযোগ করে, বিয়ের জন্য যে নগদ এবং গয়না বাড়িতে এনে রাখা হয়েছিল, পালানোর আগে সেই সব নিয়ে গিয়েছেন তরুণী।
পরিবারের দাবি অবশ্য নস্যাৎ করে দিয়েছেন তরুণী। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তাঁরা। তরুণী পুলিশকে দেওয়া জবানবন্দিতে স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি স্বেচ্ছায় ইউসুফের সঙ্গে বাড়ি ছেড়েছেন এবং সারা জীবন তাঁর সঙ্গেই থাকতে চান। এমন ঘটনায় হতাশ প্রজ্ঞা জী। গো মাতার গায়ে হাত বুলিয়েও শান্তি পাচ্ছেন না। এদিকে ঘটনার ঘনঘটা ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়। কেরালা স্টোরি-র টিকিটের পয়সা সাংসদ মহাশয়াকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলছেন তারা।