আন্দোলন কি তবে শেষ? জল্পনা চতুর্দিকে। শনিবার গভীর রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে বৈঠক হয় কুস্তিগির সাক্ষী মালিক ও বজরং পুনিয়াদের। তারপরেই রেলের চাকরিতে যোগদান করার পরিকল্পনা করেন তারা।
এরই মধ্যে রটে যায় আন্দোলন থেকে সরে আসছেন তারা। সরকারী চাকরীতে যোগদানের আবহে আন্দোলন ত্যাগের জল্পনা তৈরি হয়।
এই মর্মে টুইট করে সাক্ষী মালিক জানান, সরকারি চাকরি করতে করতেই তাদের আন্দোলন জারি রাখবেন তাঁরা। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, আন্দোলনের থেকে তিনি নাম প্রত্যাহার করেননি। তিনি এই ধরনের রিপোর্টকে ভুয়ো আখ্যা দেন। টুইট বার্তায় সাক্ষী লেখেন, ‘এই খবর সম্পূর্ণ ভুল। ন্যায়ের লড়াইয়ে আমরা কেউ পিছপা হইনি, হবোও না। সত্যাগ্রহের পাশাপাশি রেলে দায়িত্ব পালন করছি। ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে। দয়া করে কোনও ভুল খবর ছড়াবেন না।’
এর আগে ২৮ মে শীর্ষ কুস্তিগীর বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক এবং ভিনেশ ফোগাটদের যন্তর মন্তর বিক্ষোভের স্থান থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল। তার আগে ২৭ মে সংসদ অভিযান ঘিরে দিল্লি পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছিল মেডেলজয়ী কুস্তিগিরদের। আটক করা হয়েছিল সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগাট, বজরং পুনিয়াদের। এরপর ৩০ মে মেডেল ভাসিয়ে দিতে হরিদ্বারে গিয়েছিলেন কুস্তিগিররা। এরপর ৪ জুন পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল এই ঘটনায় পদক্ষেপ করার জন্য। এদিকে এরই মাঝে ৩১ মে রেলের অফিসে গিয়ে কাজে যোগ দেন সাক্ষী মালিক। তিনি ওএসডি পদে আছেন। এদিকে বজরং পুনিয়া এবং ভিনেশও রেলে চাকরি করেন। জানা গিয়েছে, কুস্তিগিররা আন্দোলনের জন্য ৩৬ দিনের ছুটি নিয়েছিলেন রেলের থেকে।