Close

হিন্দমোটরে দুষ্কৃতিদের গুলিতে আক্রান্ত ব্যাবসায়ী

রাজ্যে ফের এক ব্যবসায়ীর উপর চলল গুলি! গুলি চালানোর অভিযোগ অজ্ঞাতপরিচয় এক দল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে।

Image by Clker-Free-Vector-Images from Pixabay

রাজ্যে ফের এক ব্যবসায়ীর উপর চলল গুলি! গুলি চালানোর অভিযোগ অজ্ঞাতপরিচয় এক দল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার ভোরে হুগলির হিন্দমোটর ঘোষপাড়া এলাকার গঙ্গার ঘাটের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় পুরো এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীর নাম রাজীব সরকার(৪০)। আহত অবস্থায় তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।

এলাকার সূত্রে খবর, রাজীব পেশায় ডিম ব্যবসায়ী। প্রতিদিন ভোরে ডিমের গাড়ি থেকে ডিম আনতে হিন্দমোটর ঘোষপাড়া এলাকায় যান তিনি। শুক্রবারও প্রতিদিনের মতো ভোর চারটে নাগাদ স্কুটিতে করে রাজীব ঘোষপাড়া গিয়েছিলেন। সেখানেই আট-দশ জন দুষ্কৃতী তাঁর ঘিরে ধরে হামলা করে এবং পরে গুলি চালায় বলে অভিযোগ।

রাজীবের দোকানের কর্মচারীর থেকে জানা গিয়েছে, ‘‘ভোর ৪টে নাগাদ দাদা ঘোষপাড়ায় এসেছিল। এখানে ডিমের গাড়ি খালি হয়। কখনও দাদার কাছে টাকা থাকে, কখনও থাকে না। কিন্তু শুক্রবার ভোর বেলা ঘোষপাড়া পৌঁছতেই জনা দশেক দুষ্কৃতী দাদাকে ঘিরে দাঁড়ায়। সকলের মুখেই গামছা ছিল। দুষ্কৃতীদের ছুরির আঘাতে দাদা স্কুটি থেকে পড়ে যায়। দুষ্কৃতীদের মুখ দেখার জন্য টর্চের আলো জ্বালতেই ওরা গুলি চালিয়ে দেয়। দাদা মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পর দাদার স্কুটি নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।’’

ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছন চন্দননগর থানার পুলিশ আধিকারিকেরা। পুলিশের তরফ থেকে জানা গিয়েছে ব্যবসায়ীর উপর আক্রমণের কারণ খোঁজার চেষ্টা চলছে। এই মর্মে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দুষ্কৃতীদের শীঘ্রই গ্রেফতার করার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।

প্রসঙ্গত, ২৪ মে, বুধবার সন্ধ্যায় ব্যারাকপুরের আনন্দপুরীতে দুষ্কৃতীদের হাতে ব্যবসায়ী-পুত্র খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। আনন্দপুরীতে মাথায় হেলমেট পরে একটি সোনার দোকানে কয়েক জন দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে। বন্দুক দেখিয়ে লুটপাট শুরু করে তারা। ডাকাতিতে বাধা দিলে দোকানের মালিকের পুত্রকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় একজন দুষ্কৃতি। ঘটনাচক্রে ব্যবসায়ীর ছেলের মৃত্যু হয় এবং আরোও দুই জন আহত হ’ন। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই পুনরায় এমন ঘটনার সাক্ষী পশ্চিমবঙ্গ।

Leave a comment
scroll to top