Close

পাঁচ মাসের বেগার খাটুনি, অবশেষে চাকরি ফিরে পেলেন মিলেনিয়াম পার্কের শ্রমিকরা

দীর্ঘ পাঁচ মাস নয় দিন পর কাজ ফিরে পেলেন মিলেনিয়াম পার্কের শ্রমিক-কর্মচারীরা।

ছবি স্বত্ত্ব: সৌম্য মন্ডল /ইস্ট পোস্ট বাংলা

দীর্ঘ পাঁচ মাস নয় দিন পর কাজ ফিরে পেলেন মিলেনিয়াম পার্কের শ্রমিক-কর্মচারীরা। গত বছর ২৩শে ডিসেম্বর হঠাৎ চাকরি হারিয়েছিলেন মিলেনিয়াম পার্কের ৩৯ জন শ্রমিক কর্মচারী। কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সেইদিনই কলকাতা মিউনিসিপাল ডেভলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)-র কাছ থেকে মিলেনিয়াম পার্ক পরিচালনার দায়িত্ব চলে যায় কলকাতা পৌরসভার হাতে। যদিও দুই প্রতিষ্ঠানেরই শীর্ষপদে আছেন ববি হাকিম।

মিলিনিয়াম পার্কের এই ৩৯জন শ্রমিকের প্রায় প্রত্যেকেই পার্ক চালুর সময় থেকে কর্মরত ছিলেন। লকডাউনের সময় পার্ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কাজ হারান তারা। এর পর ২০২২ সালে নতুন ঠিকাদারের আওতায় মাত্র ১৭ দিন পার্ক চললেও মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব হস্তান্তরের সিদ্ধান্তে চুক্তি বাতিল হয় ঠিকাদারের। কাজ হারান শ্রমিক কর্মচারীরাও। এছাড়াও রাইড, ফুট স্টলের সাথে জড়িত ব্যবসায়ী এবং কর্মচারীরাও কাজ হারান। প্রসঙ্গত মিলেনিয়াম পার্কে ঠিকাদার বদলে গেলেও শ্রমিকরা রয়ে যান। নতুন ঠিকাদারের আওতায় কাজে যোগ দেন।

Millennium Park: পৌরসভা আর কেএমডিএ-র দোটানায় তিন বছর বেতন বন্ধ কর্মচারীদের

তৃনমূলের শ্রমিক নেতা এবং CITU নেতারা বার বার পৌরসভার সাথে আলোচনায় বসলেও কোনো সদুত্তর মিলছিলো না।পার্কের দায়িত্ব হস্তান্তরের পরে দীর্ঘ পাঁচ মাস কোনো ঠিকাদার নিয়োগ করেনি পৌরসভা। কিন্তু চাকরি ফিরে পাওয়ার আশায় এবং পার্কের প্রতি আবেগে শ্রমিক কর্মচারীরা নিজেরাই রোজ পার্কে এসে পার্ক খুলেছে,বন্ধ করেছেন, রক্ষণাবেক্ষণ চালিয়ে গেছেন।

শ্রমিকদের দুশ্চিন্তা এবং দারিদ্রের প্রতি তৃণমূল পরিচালিত পৌরসভার উদাসীনতার ক্ষুব্ধ হন শ্রমিকরা। গত ২০শে মার্চ কলকাতা পৌরসভার বাজেট অধিবেশনের সময় ঠিকা শ্রমিকদের বিক্ষোভ কর্মসূচী সংগঠিত করেছিলো CITU। মিলেনিয়াম পার্কের কাজ হারানো তৃণমূল পরিচালিত ইউনিয়নের সদস্যরাও সেই ঠিকা শ্রমিকদের বিক্ষোভে সামিল হয়ে ছিলেন।

এবার নতুন করে ১লা জুন থেকে নতুন ঠিকাদারের তত্বাবধানে খুলেছে মিলেনিয়াম পার্ক, স্বভাবতই খুশি শ্রমিক কর্মচারীরা। যদিও গত পাঁচ মাসের শ্রমের হিসাব নিয়ে কিছু জানায়নি পৌরসভা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক ইস্ট পোস্ট বাংলাকে জানালেন “এক তারিখ থেকে খুলেছে, আমরা সবাই নিজেদের মধ্যে শিফট ভাগ করে নিয়েছি… কিন্তু বকেয়া, বোনাস নিয়ে কিছু জানায়নি”।

CITU নেতা সৌম্যদীপ রজক জানিয়েছেন “পুরনো পাওনা নিয়ে কোনো কথা জানায়নি, এটা নতুন করে নতুন ঠিকাদারের আওতায় নিয়োগ হয়েছে”।

সৌম্য মন্ডল একজন আর্থ-সামাজিক এবং ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক। তিনি ইস্ট পোস্ট বাংলায় মুখ্য সম্পাদক হিসাবে কর্মরত। মূলত উদীয়মান বহু-মেরুর বিশ্বের নানা ঘটনাবলীর তিনি বস্তুনিষ্ঠ বিশ্লেষণ করেন।

Leave a comment
scroll to top