২০১৬ সালে কানাডায় শুরু হয় এক বিশেষ পরিষেবা যার নাম মেড, অর্থাৎ MAID (medical assistance in dying)। ২০২১ সালে কার্যত স্বেচ্ছামরণের এক নতুন অধ্যায় স্থাপন হল কানাডা মেড পরিষেবার মাধ্যমে, যখন দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত মানুষজন বাদেও যেকনো কঠিন ব্যাধিতে আক্রান্ত মানুষকে সেচ্ছামরণের অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।
এই বিশেষ পরিষেবা নিয়ে জনমত কোন দিকে প্রবাহিত সে বিষয়ে বিষদে গবেষণা করেছে রিসার্চ কো পোল নামক এক পোলিং সংস্থা। ২২-২৪সে এপ্রিলের মধ্যে করা এই অনলাইন সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী ৭৩ শতাংশ মানুষ এই পরিষেবার পক্ষে ও ১৬ শতাংশ বিরুদ্ধে। নগণ্য কিছু মানুষের কোনো স্বাস্থ্য জনিত কারন ছাড়াও সহযোগীতামূলক আত্মহত্যার এই পরিষেবাটি ভোগের পক্ষে।
ন্যাশনাল পোস্ট সংবাদমাধ্যমের মতে কানাডার কারাগারেও মেড এর নিয়মিত অনুশীলন বহাল, যদিও বেলজিয়ামে সেচ্ছামৃত্যু বৈধ থাকা সত্বেও কারাগারে এই পরিষেবাটি এই বছর প্রথম চালু করা নিয়ে বহু বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
দারিদ্রের কারণস্বরূপ এই পরিসেবাটি ব্যবহারের পক্ষে ২৭ শতাংশ মানুষ এবং চিকিৎসা করানোর অক্ষমতার কারণেও সেচ্ছামৃত্যুর পক্ষে ৫১ শতাংশ মানুষ।
কানাডার নাগরিকরা বহু বিষয় এমনকি দারিদ্রতা জনিত স্বেচ্ছামৃতুর পক্ষপাতী হলেও বেশিরভাগই মানসিক অসুস্থতার কারণে মেড প্রদানে নারাজ।