শুক্রবার, ১২ই মে প্রাক্তন রুশ রাষ্ট্রপতি দিমিত্রি মেদভেদেভ দাবি করেন হাঙ্গেরিয়ান কোটিপতি জর্জ সোরোস ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতে বহু বিচারপতিকে প্রভাবিত করেছেন।
তার উল্লেখিত ২০২০ সালের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতের একশোর মধ্যে বাইশ জন বিচারপতিদের সঙ্গে জর্জ সোরোসের ২০০৯ থেকে ২০১৯ এর মধ্যে যথেষ্ট শক্তিশালী সম্পর্ক ছিল।এছাড়াও সোরোসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন এবং মধ্যবর্তী এনজিও গুলি এই সংগঠন থেকে নিজেদের তহবিল ভরতো।
রাজনীতিতে আসার আগে মেদভেদভ পেশায় একজন উকিল ছিলেন এবং শুক্রবার সেন্ট পিটার্সবার্গে আন্তর্জাতিক আইনি বিচারালয়তে আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থাকে কটাক্ষ করে সেই সম্পর্কিত অসুবিধার কথা পেশ করেন।
মেদভেদেভ বক্তব্য “বহু বছর ধরে বিচারপতিরা আক্ষরিক অর্থেই এনার হাত থেকে খেয়েছেন এবং সমুদ্রের ওপারে নির্দেশে পক্ষপাতদুষ্ট রায়ে স্ট্যাম্প লাগিয়েছেন।”
রাশিয়া ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতের এখতিয়ার স্বীকার করতে বাধ্য হতেহয় এরকম সমস্ত চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে এবং একটি আইন তৈরি করে তার অঞ্চলে আদালতের সমস্ত রায় বাতিল ঘোষণা করে, এই আইনটি মার্চ মাসে কার্যকর হয়েছিল।
পশ্চিমাদের বহু বিজ্ঞাপিত প্রতিযোগিতা এবং স্বাধীনতার বিষয়ে আলোচনার করতে গিয়ে মেদভেদভ বলেন “পশ্চিমিরা যা চায় তাই করে, অন্যদের ওপর বৈষম্যমূলক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয়। আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক আইন “বিশুদ্ধ কল্পনা” হয়ে উঠেছে।
আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত মার্চ মাসের রুশ রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে “যুদ্ধাঅপরাধ” এর অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেব। সঙ্ঘাতপূর্ণ অঞ্চল থেকে একদা ইউক্রেন ভুক্ত অঞ্চলের রুশ শিশুদের রাশিয়ার অভ্যন্তরে সরিয়ে এনেছিলেন পুতিন আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত এই পদক্ষেপকে যুদ্ধাপরাধ বলে ঘোষণা করে।
মেদভেদভ বলেন “আইনি কাঠামো সিদ্ধান্তগুলো মেনে চলার কোন কারণ নেই” মেদভেদেভ আরো বলেন “যদি বিচার বিভাগীয় প্রতিষ্ঠান কাজ না করে তবে তা অন্যদের দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে।”