শনিবার, ৬ই মে ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসকে লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে বিশ্ব নেতা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে একটি জমকালো অনুষ্ঠানে মুকুট পরানো হয়।
৭৪ বছর বয়সী ব্রিটিশ যুবরাজের আনুষ্ঠানিকভাবে ভাবে রাজা হয়ে সিংহাসনের দায়িত্ব নেওয়ার ঐতিহাসিক মুহূর্তে সাক্ষী থাকতে যেমন জনগণ বৃষ্টি উপেক্ষা করে সমাবেশিত হয়েছিলো। তেমনি মার্কিন সংবাদ সংস্থা সিএনএন এবং ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা দ্য গার্ড়িয়ানের বয়ান অনুযায়ী রাজতন্ত্র বিরোধী বিক্ষোভে হাজারো মানুষ সামিল হয়েছিলো।
অনুষ্ঠানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহিলা জিল বিডেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ছাড়াও ব্রিটিশ কমনওয়েলথের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এবং বিশ্বের রাজপরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বাইবেল থেকে পাঠ করেন। এতে যুক্তরাজ্যের জীবিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজতন্ত্রে বিরোধী রিপাবলিক গ্রুপ, কমিউনিস্ট পার্টি সমূহ, পরিবেশবাদী সহ বিভিন্ন ধারার রাজতন্ত্র বিরোধী প্রতিবাদীরা শনিবার সকাল থেকেই বিক্ষোভে যোগ দেন। বিক্ষোভকারীরা “NOT OUR KING” বা “আমাদের রাজা নয়” স্লোগান দিতে থাকে, এবং প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখায়।
রাজ অভিষেক অনুষ্ঠান শুরুর আগে, লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ জানায় যে তারা চারজনকে “জনসাধারণে উপদ্রব ঘটানোর ষড়যন্ত্রের সন্দেহে” এবং আরও তিনজনকে “অপরাধমূলক ক্ষতি করার জন্য নিবন্ধ রাখার সন্দেহে” গ্রেপ্তার করেছে৷ রিপাবলিক গ্রুপের, এর নেতা ও পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং শতাধিক প্ল্যাকার্ড জব্দ করেছে পুলিশ।
রাজতন্ত্র বিরোধী বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়ায় লন্ডনে ব্যাপক পুলিশি ধরপাকরের প্রেক্ষিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন লিখেছে “এই ধরনের ব্যাপার মস্কোতে আশা করা যায়, লন্ডনে নয়”
অন্যদিকে পুলিশি ধরপাকর এবং অতিসক্রিয়তার প্রেক্ষিতে কমিউনিস্ট পার্টি ট্যুইটে ব্যাঙ্গাত্মক ভাবে বলেছে , লন্ডন তার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। অন্য একটি ট্যুইটে তারা এই পুলিসি অতিসক্রিয়তাকে দেশের মানুষের জন্য অসম্মানজনক বলে দাবি করা হয়।