রিকেন এবং অন্যান্য সংস্থার একদল গবেষক জাপানে প্রথম কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি করেছেন এবং এতে বাইরের ব্যবহারকারীদের পুরোপুরি প্রবেশাধিকার দিয়েছেন।
একটি কোয়ান্টাম কম্পিউটারকে তার অত্যন্ত দ্রুত গণনা ক্ষমতার কারণে পরবর্তী প্রজন্মের কম্পিউটার হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
কোয়ান্টাম হল ফোটন এবং ইলেকট্রনের মতো অতি ক্ষুদ্র কণা। কোয়ান্টাম জগতের ভৌত ঘটনাকে কম্পিউটারে প্রয়োগ করা হলে, তা গণনার গতিকে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করে।
যৌথ গবেষণা চুক্তি স্বাক্ষর করা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোম্পানির গবেষকদেরকে দেশীয়ভাবে উদ্ভাবিত এই কোয়ান্টাম কম্পিউটারে প্রথম প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে।
গবেষণা গ্রুপটি প্রত্যাশা করছে যে তাদের কাছ থেকে পাওয়া প্রতিক্রিয়া এই প্রযুক্তির উন্নতিতে সহায়তা করবে এবং এসংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার প্রোগ্রামগুলোকে দ্রুত উন্নত করবে।
জাপানে, ২০২১ সালে মার্কিন বৃহৎ প্রযুক্তি কোম্পানি আইবিএম’এর তৈরি একটি কোয়ান্টাম কম্পিউটারের কার্যক্রম টোকিওর অদূরের কাওয়াসাকি শহরে চালু করা হয়।
এছাড়া, একটি ব্রিটিশ উদ্যোক্তা কোম্পানির তৈরি আরেকটি কম্পিউটার চলতি বছরের শেষার্ধে টোকিওতে চালু হওয়ার কথা।
প্রধানত, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় দেশসমূহ এবং চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির প্রতিযোগিতা জোরদার হচ্ছে।