সিরিয়া ও তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়েছে। এখনও বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আছেন। চলছে উদ্ধার অভিযান। এই রকম অবস্থায় সিরিয়ার ওপর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একতরফা নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণভাবে তুলে নেওয়া উচিত বলে মনে করে চীন। সোমবার, ১৩ই ফেব্রুয়ারি, চীনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েন বিন সংবাদমাধ্যমকে এই কথা বলেন।
ভূমিকম্প-পীড়িত অঞ্চলে ত্রাণকার্য চালানোর সুবিধার জন্য সিরিয়ার সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাত্র ১৮০ দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণা সম্পর্কে ওয়াং ওয়েন বিন এই কথা বলেন। বহু বছরের মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপ ও অবৈধ একতরফা নিষেধাজ্ঞা সিরিয়ার অর্থনীতিকে বিধ্বস্ত করেছে।
ওয়াং বলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় সিরিয়ার ক্ষমতাকে দুর্বল করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই পরিস্থিতিতে, সিরিয়ার ওপর থেকে পুরোপুরিভাবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া উচিৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।
এর আগে ত্রাণ কার্য সহজতর করতে রেড ক্রিসেন্ট সিরিয়ার ওপর থেকে পশ্চিমা দেশগুলোকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে আহ্বান জানায়।
সিরিয়ান রেড ক্রিসেন্টের সভাপতি খালেদ হাবুবাতি বলেছেন, সিরিয়া ও সিরিয়ার জনগণের ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করুন।
চলতি সপ্তাহে, ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে সহায়তা করার জন্য সিরিয়ার উপর থেকে ১৮০ দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে দামাস্কাস।
সিরিয়ার বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, মার্কিন প্রশাসন সিরিয়ার ওপর থেকে কিছু নিষেধোজ্ঞা সাময়িক ভাবে প্রত্যাহার করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা কপটতা ও ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছু নয়। বিশ্বব্যাপী নিজেকে মানবিক দেখাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অন্যদিকে ইজরায়েলের তরফ থেকে ইরানের থেকে সিরিয়ায় পাঠানো ত্রাণবাহী বিমানের উপর আক্রমণ হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। সারা বিশ্বের নানা দেশ সিরিয়ার ভূমিকম্প পীড়িতদের পক্ষে দাঁড়িয়ে তাঁদের ত্রাণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর পশ্চিমা শক্তিগুলো নিজেদের ত্রাণ শুধুই তুরস্ককে পাঠাচ্ছে। এই রকম সময় ওয়াং ওয়েন বিন যে ভাবে মার্কিন সরকার কে সমালোচনা করেছেন তা ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে নানা মহল।