তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে দুই দেশ মিলে নিহতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানা যাচ্ছে দুই দেশের সরকারের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে গৃহহীন হয়েও প্রচুর মানুষ প্রচন্ড শীতে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। এর আগে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংগঠন (হু) আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল যে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা আটগুণ বাড়তে পারে।
তুরস্কে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৮,৫৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২,৫৩০ জনে।
এই দিকে সরকারি কর্মকর্তাদের দেওয়া তুরস্ক ও সিরিয়ায় এই মৃত্যুর সংখ্যায় এখনো সঠিক ভাবে পশ্চিমা শক্তির মদদপুষ্ট জঙ্গী গোষ্ঠীর দখলে থাকা সিরীয় প্রদেশগুলোর নিহতদের তালিকা যোগ হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে।
ভূমিকম্পে তুরস্কের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দশটি শহরে ৯০ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও, মৃতদের স্মরণে ঘোষণা করা হয়েছে সাত দিনের জাতীয় শোক। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলো পরিদর্শনে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ান।
স্থানীয় সংবাদ সূত্রে জানা গেছে ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বহু মানুষ চাপা পড়ে রয়েছে। তাদের জীবিত উদ্ধারের আশায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকারীরা।
প্রায় নয় হাজার সেনাসদস্য সহ তুরস্কে এ উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে প্রায় ১২ হাজার উদ্ধারকর্মী। সেনাদের সহযোগিতা করছে হাজার হাজার স্থানীয় অধিবাসী। রুশ, চীন, ভারত সহ বিভিন্ন দেশ তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে ত্রাণ ও উদ্ধারকার্যে এগিয়ে এলেও, এই ঘটনায় ভূ-রাজনৈতিক কারণে রুশ-ঘেঁষা সিরিয়া কে কোনো সহযোগিতা করছে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা শক্তিগুলো।