ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বেশ কয়েকটি শহরে সফর করেছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে আরও ট্যাংক সরবরাহের জন্য জার্মানিসহ মিত্রদের ওপর যখন চাপ বাড়ছে তখনই এলো অঘোষিত এই সফর।
রবিবার, ২২শে জানুয়ারি, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জনসনকে স্বাগত জানানোর আগে তিনি শহরের উপকণ্ঠে যান।
বরিস জনসন বলেন, জেলেনস্কির আমন্ত্রণে দেশটি সফর করা ‘সৌভাগ্যের’ ব্যাপার।
এক টেলিগ্রাম পোস্টে জেলেনস্কি লিখেছেন, ‘আমি ইউক্রেনের একজন সত্যিকারের বন্ধু বরিস জনসনকে কিয়েভে স্বাগত জানাই। আপনার সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ!’
জনসন কিয়েভের উত্তর-পশ্চিমে বুচা এবং বোরোদিয়াঙ্কা শহরও পরিদর্শন করেন, যেগুলো গত মার্চে রাশিয়ান বাহিনীর দখলে ছিল।
জনসন বলেন, ‘ইউক্রেনের জনগণের দুর্ভোগ অনেক দিন ধরে চলছে। এই যুদ্ধ শেষ করার একমাত্র উপায় হল ইউক্রেনের জয়লাভ করা- এবং যত দ্রুত সম্ভব জয়ী হওয়া’।
যুক্তরাজ্যের (ব্রিটেনের) বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক জনসনের সফরকে সমর্থন করেছেন বলে জানা গেছে।
তার প্রেস সচিব বলেছেন, যুক্তরাজ্য ইউক্রেনের পাশে রয়েছে এবং তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখবে এটি প্রমাণ করতে সুনাক ‘সকল সহকর্মীকে সর্বদা সমর্থন করেন’।
বরিস জনসনের এই কিয়েভ সফর এমন সময়ে এলো যখন এই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত আর্থিক বিষয় নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে।
বিবিসির চেয়ারম্যান রিচার্ড শার্প বরিস জনসনকে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ঋণের গ্যারান্টি সুরক্ষিত করতে সহায়তা করেছিলেন বলে সম্প্রতি দাবি উঠেছে। শার্প সরকার কর্তৃক তার বিবিসি ভূমিকায় নিযুক্ত হন।
বরিস জনসনের ইউক্রেন সফর কে অবশ্য একটি জনসংযোগ চমক বলে অবিহিত করেছেন রাশিয়ায় লুগানস্ক গণপ্রজাতন্ত্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত রোদিওন মিরোশনিক। তিনি বলেন, “মনে হচ্ছে জনসনের আসন যখন [বর্তমান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি] সুনাকের অধীনে নড়বড়ে হয়ে গেছে তখন তিনি নিজের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ কিয়েভকে অন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীত্ব বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় নেতৃত্বের জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষা দেখানোর একটি হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, উদাহরণস্বরূপ, ন্যাটো মহাসচিবের অফিসের জন্য। রামস্টেইনের ব্যর্থতার মধ্যে, বরিস মনে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তিনি একজন বাজপাখি এবং রাজনীতিতে ফিরে আসার জন্য প্রস্তুত।”