করুণাময়ীর আচার্য সদনের সামনে চাকরিহারাদের বিক্ষোভ ছিল। কয়েকহাজার চাকরিপ্রার্থী উপস্থিত ছিলেন সেখানে। অযোগ্য শিক্ষকদের সঙ্গে একই তালিকায় ফেলে যোগ্যদের চাকরি ছিনিয়ে নেওয়া যাবে না। শুধু তাই নয় এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টে যোগ্যদের আলাদা তালিকাও দিতে হবে। এমনই সব দাবি নিয়ে সল্টলেকের করুণাময়ীতে এসএসসির সদর দফতরের সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখালেন ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলের যোগ্য চাকরিহারারা।
বিক্ষোভকারী চাকরিহারারা যুক্তি দিয়েছেন, হাই কোর্ট তাঁদের ওএমআর শিটকে বৈধতা দিয়েছিল। তার পরেও তাঁদের চাকরি কেড়ে নেওয়া হল কেন? এদিকে এইদিন পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীরা আচার্য সদন চত্বরে ঢুকে পড়েন। আচার্য সদনে ঢুকে তাঁরা এসএসসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাতের দাবি জানান।
পরে চাকরিপ্রার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া হয়। মোতায়েন পুলিশকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ২০ জনকে ভিতরে ঢুকতে দেন।এসএসসি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলার পর তাঁরা সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘‘আমাদের দাবি, যাঁর ভুলের জন্য আমাদের এই অবস্থা, তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। সাংবাদিক বৈঠক করে নিজের ভুল স্বীকার করতে হবে এবং সেই ভুল শোধরাতে হবে।’’ কার কথা বলতে চাইছেন প্রশ্ন করা হলে তাঁরা বলেন, এসএসসি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ভুল সংশোধনের আশা করছেন তাঁরা।
অপরদিকে, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টের অধীন। মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় গত শুনানিতে জানতে চেয়েছিলেন প্যানেলের যোগ্য অযোগ্য বিচার আদৌ সম্ভব কি না। আজ সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্যের সূত্র ধরে এসএসসি জানিয়েছে যে তা সম্ভব। শুক্রবার এই প্রথম এসএসসি জানাল যে, তারা সুপ্রিম কোর্টে যোগ্যদের পরিসংখ্যান দিতে পারবে। এই দিন এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন “সুপ্রিম কোর্টকে আশ্বস্ত করে বলব, যোগ্য-অযোগ্য বিভাজন করা সম্ভব। যাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই, সেই পরিসংখ্যান সুপ্রিম কোর্টে দেব। সুপ্রিম কোর্টের যা নির্দেশ, সেই মোতাবেক আমরা যা করার করব। এই বার্তাটা আপনাদের মাধ্যমে আমরা পৌঁছে দিতে চাই।”
শুক্রবার বিক্ষোভরত চাকরিহারা সহ ২০১৬-র প্যানেলের সকল চাকরিহারা শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, “যাঁরা অযোগ্য প্রার্থী, তাঁদের নাম আমরা হলফনামা দিয়ে জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু যাঁরা দোষী নয়, আমরা তাঁদের পাশে আছি। যাঁরা যোগ্য প্রার্থী, তাঁরা আজ এসেছিলেন আমার সঙ্গে দেখা করতে। যাঁদের সম্পর্কে কোনও অভিযোগ নেই এসএসসি অবশ্যই রয়েছে তাঁদের সঙ্গে।”