নাৎসিবাদ বনাম জায়নবাদ? নাকি একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ (পর্ব ৩)
আজ বছর শেষ হচ্ছে; যুদ্ধের বিষাদ বুকে নিয়েই আমাদের নতুন বছরে প্রবেশ করতে হবে। গত পরশু রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্থা ইউনিসেফ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে জানিয়েছে ২০২৩ সালটা মধ্য প্রাচ্যের শিশুদের জন্য একটি মর্মান্তিক বছর হিসেবেই বিদায় নিচ্ছে। ওই একই দিনে নেদারল্যান্ডস-এর হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলেকে গণহত্যাকারী হিসাবে চিহ্নিত করার আপিল করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এত কিছুর পরেও চারদিকে লাগাতার যুদ্ধ বিধ্বস্ত গত তিন মাসে চোখ বুলিয়ে মনে হচ্ছে, ৭০০০ থেকে ২১০০০ মৃত্যু মিছিলের পরেও জীবন্ত ক্ষোভ প্রায় প্রশমিত হয়ে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই তাই প্রশ্ন খচখচ করে এমতাবস্থায় বিদায়ী বছরের বদলে আগামী বছরটা কতটা ভালো বয়ে আনতে পারবে! লেখার তাগিদে লিখলেও আপাতত সেই তাগিদেই এই লেখার শেষ কিস্তি। নাৎসিবাদ বনাম জায়নবাদ? নাকি একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ! চতুর্থ এবং শেষ পর্ব।
জায়নবাদ অসম্পূর্ণ জাভোতিনস্কি ছাড়া
এই লেখার দ্বিতীয় পর্বে বলেছিলাম জিয়েভ জাভোতিনস্কিকে নিয়ে আবার ফিরে আসব। জাভোতিনস্কি কে বাদ দিলে জায়নবাদের প্রয়োগের জায়গাটা অসম্পুর্ণ থেকে যায়। প্রথম জায়নবাদী নেতাদের মধ্যে জাভোতিনস্কি ছিলেন সবচেয়ে সামরিক মনভাবাপন্ন। নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ফিলিস্তিনে ব্রিটিশ বিজয়ে বিশ্ব জায়নবাদী সংস্থার অবদান হিসেবে ৫০০০ সৈন্যের একটি ইহুদি বাহিনীকে তিনিই সংগঠিত করেছিলেন। ১৯২০ সালে, জাভোতিনস্কি আবার হাগানাহ(১৯২০ থেকে ১৯৪৮ এর মধ্যে সংগঠিত জায়নবাদী সৈন্য বাহিনী) সংগঠিত করেন; যা অনেক বছর পরে, এমনকি আজও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রেরণার কেন্দ্রীয় উৎস হিসেবে সক্রিয়। এই অবদানের জন্যই জাভোতিনস্কিকে বিশ্ব জায়নবাদী সংস্থা মাথায় করে রেখেছিল। কিন্তু ১৯২৩ সালের জানুয়ারিতে ঐ সংস্থারই অতি-ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট চেইম ওয়েইজম্যানের বিরোধিতার রেশ ধরে তিনি ১৯২৫ সালে তাঁর “জায়নিস্ট-রিভিশনস্ট ওয়ার্ল্ড ইউনিয়ন” গড়ে তোলার জন্য ঐ সংস্থা থেকে পদত্যাগ করেন।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর, ব্রিটেন ইহুদি সৈন্যদলকে বিলুপ্ত করে এবং বেলফোর ডিক্লারেশনের আওতায় ট্রান্স-জর্ডানকে (জর্ডন নদীর পূর্ব তীর যার অধিকাংশই আজ জর্ডান দেশের অন্তর্ভুক্ত) “ইহুদি জাতির জন্য বরাদ্দকৃত” অঞ্চল থেকে বাদ দেয়। জাভোতিনস্কি তখন দুর্বল। লন্ডনের সিদ্ধান্তের উপর কাঁচি চালানোর ক্ষমতা তার নেই, অথচ তিনি মরিয়া। ট্রান্স-জর্ডন এলাকা জায়নবাদীদের জন্যই বরাদ্দ,- এই ছিল তাঁর দাবি। কিন্তু ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ সিদ্ধান্ত বদল করেনি। তাই উচ্চাকাঙ্খী জাভোতিনস্কি ১৯২৩ সালে জায়নবাদী যুবকদের নিয়ে তৈরি করে তার ‘ব্রাউন শার্ট’ আধাসামরিক বাহিনি। নামটা কেমন চেনা চেনা ঠেকছে না?
সাংবাদিক লেনি ব্রেনারও তাঁর “জায়নিস্ট রিভিশনিসম দ্য ইয়ারস অফ ফ্যাসীজম অ্যান্ড টেরর” জার্নালে জাভোতিনস্কি কে উদ্ধৃত করেছেন। তার লেখা থেকেই সরাসরি তুলে ধরছি, ১৯২৩ সালের নভেম্বরে লেখা তার রাজনৈতিক ক্লাসিক, “দ্য আয়রন ওয়াল”-এ, জাভোতিনস্কি জায়নবাদী ভাবধারার সাফল্যের জন্য সামরিকবাদের পরম প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে লিখেছিলেন: “আমাদের এবং আরবদের মধ্যে কোনো সমঝোতা বা সম্মিলনের কোনো আলোচনা হতে পারে না। … যেকোনো স্থানীয় মানুষ… তাদের দেশকে তাদের জাতীয় আস্তানা হিসেবে দেখে…যেখানে তারা একজন নতুন প্রভুকেই শুধু নয় এমনকি নতুন কোনো অংশীদারকেও স্বেচ্ছায় গ্রহণ করবে না।… উপনিবেশ স্থাপনের একটাই লক্ষ্য থাকতে পারে। ফিলিস্তিনিদের জন্য যে লক্ষ্যটি আরবদের কাছে গ্রাহ্য হবে না। প্রকৃতিগতভাবে এটাই বাস্তব পরিস্থিতি। যার পরিবর্তন করা অসম্ভব। তাই অব্যাহত উপনিবেশ ও তার অস্তিত্ব শুধুমাত্র উপনিবেশের জনগণের মধ্যে থেকে গৃহিত সদস্যদের নিয়ে তৈরি একটি স্বাধীন শক্তির সুরক্ষা মারফতই নিশ্চিত হতে পারে। যা স্থানীয় জনগণের জন্য অলঙ্ঘনীয় একটি লৌহদৃঢ় প্রাচীর সদৃশ হবে। এটিই হচ্ছে আরবদের জন্য আমাদের পরিপূর্ণ নীতি। অন্য কোনো উপায়ে যার প্রণয়ন করা হবে কেবল ভণ্ডামি।“
যাইহোক, এই ব্রাউন শার্ট হল সেই বাহিনী,- যেখানে ১৯২৯ সালে ১৬ বছর বয়সী মেনাহেম ওলফেভিচ বিগিন পোল্যান্ডে থাকাকালীন অবস্থায় যোগ দিয়েছিলেন। পরে যিনি বিশ্ব ‘বেইটার’-এর (জাভোতিনস্কি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত যুব আন্দলন) বৃহত্তম শাখার জাতীয় ইউনিটের প্রধান হয়ে উঠেছিলেন। বেইটার ঐতিহ্যগতভাবে আদি হেরুত পার্টি (ফ্রীডম পার্টি) এবং তারপর লিকুদ পার্টির সাথেও যুক্ত ছিল। পরবর্তীতে হেরুত পার্টি এবং লিকুদ পার্টি এক হয়ে যায়। এটি প্রাক-ইসরায়েল সংশোধনবাদী(জাতীয়তাবাদী)-জায়নবাদী জঙ্গি গোষ্ঠী ইরগুনের (ব্রাউন শার্ট) সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিল। লেনি তার লেখায় বলেছেন, “জায়নবাদী আন্দোলনের মধ্যে আজীবন বিরোধিতার পর ১৯৭৭ সালে মেনাহেম বেগিনের ক্ষমতার বিস্ময়কর উত্থান, তাঁর ব্যক্তিগত কর্মজীবনকেও যথেষ্ট আকর্ষণীয় করে তোলে। হার্জলের পর সর্বশ্রেষ্ঠ ইহুদি হিসেবে বিবেচ্য, ক্ষমতা ও খ্যাতির শীর্ষে থাকা অবস্থায়ও যিনি নিজেকে ভ্লাদিমির জাভোতিনস্কির শিষ্যের বেশি ভাবতেন না। সেই ভ্লাদিমির জাভোতিনস্কিকে না জানা মানে মেনাহেম বেগিন-বা সমসাময়িক ইসরায়েলকে ঠিকঠাক না বোঝা।”
জায়নবাদ ও তৎকালীন ইতালির ফ্যাসীবাদের মধ্যে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ
জায়নবাদীরা ইসরায়েলের নির্মাণ যে নাৎসিবাদের সঙ্গে যোগসূত্র রেখে চলেছে তা আগেই বলেছি। এখন আর একটি সুত্রের সন্ধান দিচ্ছি। ঐ লেনি ব্রেনারই লিখেছেন যে;- “১৯৩৩ সালের ডিসেম্বরে, ওয়েইজম্যান নাৎসিদের কাছে বার্লিনে আসার অনুমতি চেয়েছিলেন। যাতে আরলোসরফের কল্পনাকে পূর্ণমাত্রায় লিকুইডেশন ব্যাঙ্কে স্থানান্তরের বাণিজ্য চুক্তির আরও উন্নয়নের জন্য আলোচনা করা যায়। একই সময়ে, জাভোতিনস্কি ইতালির একটি বেইটার স্কুলের জন্য তার Unione Revisionisti-এর মাধ্যমে আলোচনা চালাচ্ছিলেন।“ যেহেতু ঐতিহাসিক কারনেই জায়নবাদীরা জার্মানীর নাৎসিদের চেয়ে ইতালির ফ্যাসী বাহিনির বেশি নিকট আত্মীয় ছিল, তাই পরবর্তীকালে বিশ্ব জায়নবাদী সংস্থার সঙ্গে জাভোতিনস্কিপন্থীদের সংগ্রাম তীব্র হয়ে ওঠে। এমনকি খুনোখুনির পর্যায়েও যায়। লেনির লেখাতেই তার উল্লেখ আছে। যেখানে লেনি লিখেছেন;- “১৯৩০-এর দশকে এমনকি জাভোতিনস্কির কাছেও এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, ব্রিটেন কখনোই ট্রান্স-জর্ডানকে জায়নবাদীদের দেওয়ার কথা বিবেচনা করবে না, এবং তাই ফ্যাসিবাদকে একটি নীতি হিসাবে মনস্থ করা সত্ত্বেও তিনি ক্রমবর্ধমানভাবে ইতালির অভিমুখী হয়ে ওঠেন। ১৯৩৪ সালের নভেম্বরে, মুসোলিনি সিভিটাভেকিয়াতে তার স্কুব্লা মারিত্তিমাতে একটি বেইটার স্কোয়াড্রন স্থাপন করেছিলেন। যেখানে ১৩৪ জন ক্যাডেট কুখ্যাত ব্ল্যাকশার্টদের দ্বারা প্রশিক্ষিত হয়েছিল। তাতেই ১৯৩৬ সালে, ইল ডুস (মুসলিনি) নিজেই তার জায়নবাদী ওয়ার্ডগুলি পর্যালোচনা করেছিলেন।“ এই ব্ল্যাক শার্টদের অনুকরণেই জাভোতিনস্কি তার বাহিনীর নামকরণ করে ‘ব্রাউন শার্ট’।
বাঁধা-ধরা ছক
আচ্ছা, আপনাদের যদি বলা হয় যে, প্রবাদ প্রতিম বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন জায়নবাদের বিরোধীতা করায় তাঁকে অ্যান্টি-সেমেটিক বলে উল্লেখ করা হয়েছে নানা জায়গায়;- আপনারা অবাক হবেন কি? যদি অবাক হ’ন তবে বলে রাখি এটাই বাস্তবে জায়নবাদী প্রবণতা। ফ্যাসীবাদ এভাবেই মূলত ন্যুন্যতম সমালোচনার গন্ধ পেলেই ছাপ মেরে দিতে অভ্যস্ত। যদিও এই কৌশল মূলত বামপন্থী, ফ্যাসীবাদ বিরোধী ও বর্ণবাদ বিরোধীদের ক্ষেত্রেই লাগু হয়,-তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু এই সব কিছুর মধ্যে আসল কথাটি হল আইনস্টাইন জায়নবাদের বিরোধীতা করেছিলেন এবং করেছিলেন শুধু নয়, বরং একে ফ্যাসীবাদ হিসেবে চিহ্নিতও করেছিলেন।
বেগিনের যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ১৯৪৮ সালের ২রা ডিসেম্বর নিউ ইয়র্ক টাইমসের সম্পাদককে লেখা বুদ্ধিজীবীদের একটি চিঠিতে লেখা হয়েছিল, “বিক্ষিপ্ত ব্রিটিশ বিরোধী সহিংসতার শেষ বছরগুলিতে, আইজেডএল এবং স্টার্ন গ্রুপগুলি প্যালেস্তাইনের ইহুদি সম্প্রদায়ের মধ্যে সন্ত্রাসের রাজত্বের সূত্রপাত করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য শিক্ষকদের মারধর করা হয়েছিল। সন্তানদের সাথে যোগাযোগ রুদ্ধ করতে প্রাপ্তবয়স্কদের গুলি করা হয়েছিল। গ্যাংস্টার পদ্ধতি, মারধর, বাড়ি ভাঙা এবং ব্যাপক ডাকাতির মাধ্যমে জায়নবাদী সন্ত্রাসবাদীরা জনগণকে ভয় দেখায় এবং ভবিষ্যতের জন্য এক ধরনের সন্ত্রস্ত সম্ভ্রম আদায় করে। প্যালেস্তাইনের গঠনমূলক অর্জনে ফ্রিডম পার্টির লোকজনের কোনো অংশ নেই। তারা কোনো জমি পুনরুদ্ধার করেনি, কোনো বসতি নির্মাণ করেনি এবং শুধুমাত্র ইহুদিদের প্রতিরক্ষার স্বার্থে উদ্বাস্তু হিসেবেই থেকে গেছে। তাদের বহুল প্রচারিত সংকীর্ণ অভিবাসন প্রকল্প ছিল প্রধানত ফ্যাসিস্ট স্বদেশীদের প্রতিষ্ঠার জন্য নিবেদিত।“
এই চিঠিতেই আরও লেখা হয়, “বেগিন এবং তাঁর দল এখন যে আগ্রাসী দাবি করছে, এবং প্যালেস্তাইনে তাদের অতীত কার্যকলাপের ঐতিহাসিক পার্থক্যগুলি কোনও সাধারণ রাজনৈতিক দলের ছাপ বহন করে না। এটি একটি ফ্যাসিস্ট পার্টির অস্পষ্ট ছাপ, যার লক্ষ্য সন্ত্রাসবাদ (ইহুদি, আরব এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে একইভাবে), ও মিথ্যা পরিবেশনের মাধ্যমে একটি “কতৃত্বপরায়ণ রাষ্ট্র” এর প্রতিষ্ঠা।“ এখানেই আরও বলা হয়, “এটি আরও দুঃখজনক যে আমেরিকান জায়নবাদের শীর্ষ নেতৃত্বও বেগিনের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে অস্বীকার করেছে। এমনকি তারা তাদের নিজস্ব উপাদানগুলির কাছেও বিগিনকে সমর্থনের ফলে ইসরায়েলের জন্য ভাবী বিপদগুলি পর্যন্ত প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছে।“ এই চিঠিতে দাবি করা হয়, “তাই নিম্নস্বাক্ষরকারীরা বেগিন এবং তার দল সম্পর্কিত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ্যে উপস্থাপনের এই উপায়টি গ্রহণ করেছি, এবং ফ্যাসিবাদের এই সর্বশেষ প্রকাশকে সমর্থন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করছি।“ যে চিঠিটিতে অন্য সকল বুদ্ধিজীবীদের সাথে আলবার্ট আইনস্টাইনও স্বাক্ষর করেছিলেন।
উপসংহার
আজকের শাসক গোষ্ঠী যতই ইসরায়েল বিরোধীদের নাৎসিবাদী বলে দাগিয়ে দিতে হাত পা ছুঁড়ুক না কেন, যাদের দেখার তারা অনেকদিন আগেই লাল বাতি দেখতে পেয়েছিলেন এবং চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। সুতরাং আজকের আন্তর্জাতিক উদারনৈতিক নেতৃত্ববর্গ যে নেহাত না জেনে না বুঝে শিশুর মত সমস্যা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তা নয়, বরং এ এক অত্যন্ত সচেতন প্রয়াস। উপরের এই চিঠিতে উল্লেখিত হুমকি যে কতটা সত্য তা দশকের পর দশক ইসরায়েল নিজেই তুলে ধরেছে এবং যন্ত্রণার বিষয় সময়ের সাথে তা আরও বেশি বেশি প্রকট হয়ে উঠবে। কিন্তু আপনারা কী করবেন? এই যুদ্ধ আপনাদের স্নায়ুকোষে সংবেদন সৃষ্টি করবে কি? কারণ ফিলিস্তিনিরা যদি না জেতে তবে তাবৎ ইহুদিদের সাথেই আন্তর্জাতিক মানবতাও হেরে যাবে। তখন স্রেফ আমোদের নতুন বছরটাই শুধু নয় কলুষিত হবে মাত্র তিন দশকের দিকে পা বাড়ানো আমাদের গোটা শতাব্দীটাই।