গঙ্গার পাড়ে প্রায় জনশূন্য এক ঘাট। ইতি উতি ছড়িয়ে আছে কিছু যুগল। ঘাটের কোণায় ছোট জটলা করে বসেছে মাতাল-গেঁজেলদের আড্ডা। নদীর ওপার থেকে ঘন ঘন আলোর রেখা উঠে আসছে আকাশে। খানিকটা এসেই দপ করে জ্বলে উঠে নিভে যাচ্ছে; সাথে ‘ফটাশ’ করে একটা শব্দ। হাউই! কুয়াশার চাদর গায়ে মেখে শীত নামছে ধীরে ধীরে। চলতি নভেম্বরের মাঝামাঝি কালীপূজোর সময় পশ্চিম বাংলার যেকোনো শহরতলীর এটাই প্রতিচ্ছবি। চিত্রটা খানিকটা বদলে যায় যদি আমরা হাজার হাজার মাইল পশ্চিমে, প্রাচ্যের শেষ প্রান্তে পৌঁছতে পারি। সেখানে নদীর পাড়ে আপাতত গেঁজেল ছোকরাদের সুখের বা দুঃখের আড্ডা বসছেনা। সেখানে যুগলেরা একসাথে পতাকা হাতে শহিদ হওয়ার দিন গুনছে। কলকাতার রাস্তায় যখন চকলেট বোম ফাটছে, তখন এখানে স্বনামধন্য চকলেট সহ আরও কিছু কোম্পানির দৌলতে ফাটছে বোম, শুধুই বোম। ওয়েলকাম টু গাজা!
ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান যুদ্ধে পক্ষ নির্বাচনে গোটা বিশ্ব এই মুহুর্তে দুই ভাগে বিভক্ত। আন্তর্জাতিক নেতৃত্বের উপরেও প্রবল চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এতটাই যে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ পর্যন্ত ফিলিস্তিনে ইসরায়েলী দখলদার বাহিনির বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করেছে এবং তাতে সই করেছে ভারত। কিন্তু ইসরায়েলের তাতে ভ্রুক্ষেপ আছে কি? ফিলিস্তিনে এই মুহূর্তে নিহত ১১০০০-এর উপর প্রাণ, যার ৩০ শতাংশই শিশু। চলমান যুদ্ধ উচ্ছেদ করেছে ১৫ লাখ মানুষকে। কিন্তু ইসরায়েলী কর্তৃপক্ষের আক্রমণের ন্যায্যতা দেওয়ার ফিরিস্তি শেষ হচ্ছে না মোটেই।
সাম্প্রতিকতম এবং হাস্যকর যে নায্যতার দলিল উঠে এসেছে তা হল, হামাসের ক্যাম্প থেকে উদ্ধার হয়েছে হিটলারের জীবনী ‘মেইন ক্যাম্ফ’, তাই তাদের সাথে কোন প্রকারেই যুদ্ধ বিরতি সম্ভব নয়। এই দাবি করেছেন স্বয়ং ইসরায়েলের রাষ্ট্রপতি আইজ্যাক হারজোগ। গত রবিবার বিবিসিকে একটি সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় রিপোর্টার লরা কুয়েন্সবার্গের এই দাবিকে তিনি প্রত্যাখ্যান করেন যে, “শান্তি আলোচনায় স্থবিরতার দায়ভারের একটা অংশ ইসরায়েলকে নিতে হবে,”। তিনি আরও বলেন যে “ফিলিস্তিনিদের সব পাওনা ইসরায়েল দিয়েছে বদলে স্রেফ সন্ত্রাস পেয়েছে”। এরও আগে হারজোগ দাবি করেছিলেন যে যারা ফিলিস্তিনের সমর্থনে ইউরোপীয় ও মার্কিন রাজপথ দখল করছে তারা আসলে নাৎসিবাদকে সমর্থন করছে। এখন নাৎসিবাদ ও পাওনা-গন্ডার হিসেব যখন একসাথেই এসেছে তখন ইতিহাস ঘেঁটে দেখাটাই দস্তুরমত কাজ হবে।
কী এই ‘মেইন ক্যাম্ফ’ আর কীই বা নাৎসিবাদ?
উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, “মেইন ক্যাম্ফ (বাংলায় আমার সংগ্রাম) সাবেক জার্মান চান্সেলর অ্যাডল্ফ হিটলারের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ। বইটির দুইটি খণ্ড রয়েছে যার প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয় ১৯২৫ সালে, এবং দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশিত হয় ১৯২৬ সালে। বইটি লেখার সময় হিটলার জেলে ছিলেন বলে জানা যায়। এই বইতেই হিটলার নাৎসিবাদ সম্পর্কে নিজস্ব ধারণা দেন।“ ১৯৩৩ সালে হিটলারের উত্থান হলে নাৎসিবাদ জারি হয় জার্মানিতে। পরবর্তীতে এই বই জার্মান নাৎসি পার্টির ইস্তেহার হয়ে ওঠে।
রাজনৈতিকভাবে নাৎসিবাদ হল এখন পর্যন্ত ফ্যাসীবাদের সবচাইতে বিশুদ্ধ ফলিত রুপ, যা জার্মানিতে হিটলারের উত্থানের সাথে ত্বরান্বিত হয়। অন্যদিকে ফ্যাসিবাদ হল, একটি উগ্রডানপন্থী, কর্তৃত্ববাদী, অতি-জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক মতাদর্শ এবং আন্দোলন, যা একজন স্বৈরাচারী নেতা, কেন্দ্রীভূত স্বৈরাচার, সামরিকবাদ, বিরোধীদের জোরপূর্বক দমন বিশেষত একটা জাতিকে বা তথাকথিত জাতিকে ছায়াশত্রু হিসেবে ঘেঁটুকৃত করে তাদের বলপূর্বক দমনের উপর দাঁড়িয়ে থাকে এবং জাতি বা বর্ণের সাম্ভাব্য ভালোর জন্য ব্যক্তি স্বার্থের অবদমন এবং সমাজ ও অর্থনীতির শক্তিশালী পুনর্বিন্যাসে বিশ্বাস করে। সুতরাং এরই বিশুদ্ধ প্রকাশ হিসেবে নাৎসিবাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় ইহুদিবিদ্বেষ। তাই মূলগতভাবে নাৎসিবাদ এবং ফ্যাসীবাদ অভিন্ন।
এর চরম জাতীয়তাবাদের উৎপত্তি প্যান-জার্মানবাদ এবং নৃ-জাতীয়তাবাদী ভল্কিচ আন্দোলন থেকে যা উনিশ শতকের শেষের দিক থেকে জার্মান অতি-জাতীয়তাবাদের একটি বিশিষ্ট দিক। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির পরাজয়ের পর আবির্ভূত হওয়া ফ্রেইকর্পস আধাসামরিক গোষ্ঠীগুলির দ্বারা নাৎসিবাদ দৃঢ়ভাবে প্রভাবিত হয়েছিল, যেখান থেকে পার্টির অন্তর্নিহিত “সহিংসতার সংস্কৃতি” এসেছে। নাৎসিবাদ সামাজিক বিভাজনগুলি কাটিয়ে উঠতে এবং জাতিগত বিশুদ্ধতার উপর ভিত্তি করে একটি সমজাতীয় জার্মান সমাজ তৈরি করার চেষ্টা করেছিল যা একটি মাত্র জনগোষ্ঠীর তথাকথিত প্রতিনিধিত্ব করে। নাৎসিদের লক্ষ্য ছিল ঐতিহাসিকভাবে জার্মান ভূখণ্ডে বসবাসকারী সকল জার্মানদের একত্রিত করা, সেইসাথে লেবেনসরাউমের মতবাদের অধীনে জার্মান সম্প্রসারণের জন্য অতিরিক্ত জমি লাভ করা এবং যাদেরকে তারা এলিয়েন সম্প্রদায় বা “নিকৃষ্ট” জাতি বলে মনে করত তাদেরকে বাদ দেওয়া, যেমন ইহুদী।
জায়নবাদীদের ভাষ্যে জায়নবাদ
সাধারনত একটা ভুল ধারণা অনেকেই পোষণ করে থাকেন যে জার্মানিতে হিটলার কর্তৃক ইহুদী নিধনই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ইহুদীদের নিজেদের দেশ নির্মাণে বদ্ধপরিকর করে তোলে। কিন্তু হিটলারের ইহুদী নিধন এই ঘটনা কে ত্বরান্বিত করে বটে তবে এর কারণ নয়। মতাদর্শের উপর ভর করে ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠা তার নাম ‘জায়নবাদ’। হলোকাস্ট জায়নবাদকে উস্কানি দিয়েছিল কিন্তু সমগ্র জায়নবাদের কাছে এর তেমন গুরুত্ব নেই। শুধু তাই নয়, জায়নবাদী ভাবনার সূত্রপাত হিটলারের জন্মের চারবছর আগে।
উনিশ শতকের দোরগোড়ায় ইউরোপে একটি নতুন মতবাদের আগমন ঘটে যার সারমর্ম হল এই যে, ফিলিস্তিনে ইহুদি জনগণের জন্য একটি আবাসভূমি প্রতিষ্ঠা, একটি অঞ্চল যা ইহুদি ঐতিহ্যে ইসরায়েলের ভূমির সাথে মোটামুটিভাবে মিলে যায়। এর নাম জায়নবাদ বা ইংরেজীতে জায়নীসম। “জায়নবাদ” শব্দটি জায়ন শব্দ থেকে উদ্ভূত হয়েছে, যা জেরুজালেমের একটি পাহাড়ের নাম, এবং এটি ব্যাপকার্থে ইসরায়েলের ভূমির প্রতীক। ১৯ শতকের শেষের দিকে পূর্ব ইউরোপ জুড়ে, অসংখ্য ছোট ছোট গোষ্ঠী তাদের জন্মভূমিতে ইহুদিদের জাতীয় পুনর্বাসনকে উন্নীত করেছিল। এই গোষ্ঠীগুলিকে একত্রে বলা হত ‘লাভার্স অফ জায়ন’। ১৮৮৪ সালে ‘লাভার্স অফ জায়ন’-এরা একত্রিত হয় এবং ১৮৯৭ সালে প্রথম জায়নবাদী কংগ্রেসের আয়োজন করে; যা নাৎসিবাদ সংহত হওয়ারও অনেক আগের কথা।
১৮৯৭ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত, জায়নবাদী আন্দোলনের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ফিলিস্তিনে একটি ইহুদি আবাসভূমির ভিত্তি স্থাপন করা এবং তারপরে এটিকে সুসংহত করা। ১৯ শতকের শেষের দিকে এবং ২০ শতকের প্রথম দিকে, বিপুল সংখ্যক ইহুদি প্রথমে অটোমান সাম্রাজ্যে এবং পরে নির্দিষ্টভাবে প্যালেস্টাইনে অভিবাসিত হয় এবং একই সময়ে, বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি ও সমর্থন পাওয়ার জন্য জায়নবাদের মতাদর্শগত কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানো হয়। ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর, জায়নবাদ এমন একটি আদর্শে পরিণত হয় যা “ইসরায়েল রাষ্ট্রের উন্নয়ন ও সুরক্ষা”-র নীতিকে সমর্থন করে। জায়নবাদ শব্দবন্ধের প্রথম ব্যবহার করেন অস্ট্রিয়ান লেখক নাথান বার্নবাউম, যিনি কাদিমাহ জাতীয়তাবাদী ইহুদি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতাও বটে। তিনি ১৮৯০ সালে তার সেল্বস্ট-এমান্সিপেশন (আত্ম-মুক্তি) জার্নালে এই শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন।
জায়নবাদী আন্দোলনের প্রথম দশক জুড়ে, এমন বেশ কয়েকটি উদাহরণ ছিল যেখানে কিছু জায়নবাদী ব্যক্তিত্ব ফিলিস্তিনের বাইরে যেমন উগান্ডা এবং আর্জেন্টিনার মতো জায়গায় একটি ইহুদি রাষ্ট্র নির্মাণকে সমর্থন করেছিল। রাজনৈতিক জায়নবাদের প্রতিষ্ঠাতা থিওডর হার্জল প্রাথমিকভাবে যে কোনো স্থানে ইহুদি স্বশাসিত রাষ্ট্রের নির্মাণে সন্তুষ্ট ছিলেন। আর্জেন্টিনার ইহুদি বসতি ছিল মরিস ডি হির্শের প্রকল্প। হার্জল এই বিকল্প পরিকল্পনাটিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেছেন কিনা তা স্পষ্ট নয়, তবে তিনি পরে নিশ্চিত করেছেন যে ফিলিস্তিনের সাথে ইহুদিদের ধর্মীয় সম্পর্কের কারণে স্থানটি রাষ্ট্র নির্মাণের ক্ষেত্রে আরও বেশি আকর্ষণীয়। (সূত্র- থিওডর হার্জল (১৮৯৬)। “ফিলিস্তিন নাকি আর্জেন্টিনা?” ইহুদি রাষ্ট্র। পৃষ্ঠা ২৯-৩১)
ফিলিস্তিনে নতুন ইশুভ নির্মাণের আনুষ্ঠানিক সূচনা সাধারণত ১৮৮২ সালে বিলু গ্রুপের আগমনের সময় হয়, যারা প্রথম আলিয়া(ইহুদী অভিবাসন) শুরু করেছিল। পরবর্তী বছরগুলিতে, প্যালেস্টাইনে ইহুদিদের অভিবাসন শুরু হয় আন্তরিকভাবে। বেশিরভাগ অভিবাসীরা রাশিয়ান সাম্রাজ্য থেকে এসেছিল। এরা মুলতঃ ঘন ঘন দাঙ্গা এবং আধুনা ইউক্রেন এবং পোল্যান্ডে রাষ্ট্র পরিচালিত নিপীড়ন থেকে পালিয়ে এসেছিল। তারা পশ্চিম ইউরোপের ইহুদি সমাজসেবীদের আর্থিক সহায়তায় বেশ কয়েকটি কৃষিভিত্তিক বসতি স্থাপন করেছিল। যথারীতি ১৯ শতকের শেষের দিকে, ইহুদিরা প্যালেস্টাইনে একটি ছোট সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়ে উঠেছিল।
১৯৯৩ সালে অলিভ ব্রাঞ্চ প্রেস থেকে প্রকাশিত বেঞ্জামিন বেইত-হালহামির, অরিজিনাল সিন্স: রিফ্লেকশন্স অন দ্য হিস্ট্রি অফ জায়নীসম অ্যান্ড ইসরায়েল বইয়ের ১০৩ নম্বর পাতায় এক অদ্ভুত বক্তব্যের উল্লেখ পাওা যায়। জিয়েভ জাভোতিন্সকি, যিনি ন্যাশনাল জায়নবাদের প্রবক্তা ছিলেন, তিনি বিশ্বাস করতেন, “জায়নবাদ একটি ঔপনিবেশিক দুঃসাহসিক কাজ এবং তাই এটির ওঠা-পড়া সশস্ত্র শক্তির প্রশ্নে। এটি(ইহুদী রাষ্ট্র) নির্মাণ করা গুরুত্বপূর্ণ, হিব্রু ভাষায় কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, গুলি করতে সক্ষম হওয়া আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ— অন্যথায় আমি ঔপনিবেশিক খেলার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি৷” ১৯৩৫ সালে জাতীয় জায়নবাদীরা বিশ্ব ইহুদিবাদী সংস্থা ত্যাগ করেছিল কারণ এই সংস্থা অস্বীকার করেছিল যে একটি ইহুদি রাষ্ট্র নির্মাণ জায়নবাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল।
“জায়নবাদ একটি ঔপনিবেশিক দুঃসাহসিক কাজ এবং তাই এটির ওঠা-পড়া সশস্ত্র শক্তির প্রশ্নে। এটি(ইহুদী রাষ্ট্র) নির্মাণ করা গুরুত্বপূর্ণ, হিব্রু ভাষায় কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, গুলি করতে সক্ষম হওয়া আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ— অন্যথায় আমি ঔপনিবেশিক খেলার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি৷” -জিয়েভ জাভোতিনস্কি
আরও একটি লেখার কথা এখানে উল্লেখ করা যায়। আভি শ্লাইম তার “আয়রন ওয়াল: ১৯৪৮ সাল থেকে ইসরায়েল এবং আরব বিশ্ব”। লেখায় বলেছেন, যদিও ইহুদিরা প্রাচ্যে উদ্ভূত হয়েছিল, তারা সাংস্কৃতিক, নৈতিক এবং আধ্যাত্মিকভাবে পশ্চিমের অন্তর্ভুক্ত ছিল। জাবোতিনস্কি ইহুদিদের তাদের আধ্যাত্মিক স্বদেশে প্রত্যাবর্তন নয় বরং প্রাচ্যে পশ্চিমা সভ্যতার একটি শাখা বা ইমপ্লান্ট হিসাবে জায়নবাদকে কল্পনা করেছিলেন। এই বিশ্বদৃষ্টিটি একটি ভূ-কৌশলগত ধারণায় রূপান্তরিত হয়েছিল যেখানে জায়নবাদকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরের সমস্ত আরবদের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ঔপনিবেশিকতার সাথে স্থায়ীভাবে জোটবদ্ধ হতে হবে।
এই জাতীয় জায়নবাদীরা আরব জনগণকে ব্যাপক ইহুদি অভিবাসন মেনে নিতে বাধ্য করার জন্য ফিলিস্তিনে একটি ইহুদি সেনাবাহিনী গঠনের পক্ষে ছিল। সংশোধনবাদী জায়নবাদের সমর্থকরা ইসরায়েলে লিকুদ পার্টি গড়ে তোলে, যেটি ১৯৭৭ সাল থেকে বেশিরভাগ সময় সরকার দখল করেছে। ইসরায়েলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই লিকুদ পার্টির সদস্য।
চলবে…