কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা(AI)-র আদি চিন্তকদের একজন গুগল ছেড়ে বেরিয়ে এলেন প্রযুক্তির বিপদ নিয়ে সোচ্চারে বলবার জন্য। জিওফ্রে হিন্টন। বিশেষজ্ঞরা যা ভাবছেন, তার চেয়ে দ্রুত কম্পিউটারগুলো মানুষের চেয়ে বুদ্ধিমান হয়ে উঠছে বলে তাঁর অনুমান, রয়টার্স সূত্রে খবর।
“আমি ছেড়ে বেরিয়ে এলাম এটা না ভেবেই যে এর প্রভাব গুগলের ওপর কতটা পড়বে, আমি ছেড়ে এলাম যাতে প্রযুক্তির বিপদ নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে পারি।”
নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, হিন্টন বলেন, বিশ্বাসযোগ্য মিথ্যে ছবি ও লেখা তৈরি করার যে পরিমাণ ক্ষমতা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার, তাতে তিনি শঙ্কিত, মানুষ ভিন্ন এক দুনিয়া তৈরি করছে যেখানে “মানুষ আর জেনে উঠতে পারবে না কোনটা সত্য কোনটা নয়।”
“খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে যারা তাদের আপনি কীভাবে চিহ্নিত করবেন, উপায় খুঁজে পাওয়া মুশকিল,” তিনি বলেন।
প্রযুক্তি খুব দ্রুত মানুষকে কর্মচ্যুত করতে পারে, সে নিজেই সময়ের সাথে সাথে নতুন আচরণ শিখে নিতে পারে, ফলে সমস্যা দিনে দিনে বৃহত্তর হয়ে উঠতে পারে।
“যা ভাবা হয়েছিল, যে এগুলো মানুষের থেকে বুদ্ধিসম্পন্ন হয়ে উঠতে পারে – খুব কম জনই বিশ্বাস করতেন,” তিনি নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেন, “বেশিরভাগই মনে করতেন এ হতে বহুদিন সময় লাগবে। আমি মনে করতাম বহুদিনের ব্যাপার। আমি ভাবতাম ৩০ থেকে ৫০ বছর এমনকি বেশিও লাগতে পারে। বলা বাহুল্য এখন আর মনে করছি না।”
তার ট্যুইটে, হিন্টন জানিয়েছেন যে গুগল নিজেই “খুব দায়িত্বশীলভাবে কাজ করেছে” এবং তিনি জানিয়েছেন, এরকমটা নয় যে তিনি গুগল ছাড়লেন গুগলের সমালোচনা করবেন বলে।
গুগল, যা কিনা অ্যালফাবেট ইনকর্পোরেটের একটি অংশ, রয়টার্স প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে যোগাযোগ করলে সাড়া দেয়নি। গুগলের মুখ্য বিজ্ঞানী, জেফ ডিনকে উদ্ধৃত করে টাইমস সংবাদ পত্র জানিয়েছে, যেমন তিনি একটি বক্তব্যে বলছেন, “আমরা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে ভাবনাভঙ্গিতে প্রথম থেকেই দ্বায়িত্বশীল। আমরা যেমন অনবরত নতুন ঝুঁকিগুলোকে বুঝতে শিখছি, তেমনই উদ্ভাবন করছি মস্ত মস্ত পণ্য।”