Close

NATOতে আসতে হলে, এত বেশি দূর্নীতি চলবে না, বলা হবে ইউক্রেনকে – দ্য টেলিগ্রাফ

উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংগঠন বা NATO তে যোগদানের জন্য, ইউক্রেন খুব বেশিই দূর্নীতি গ্রস্ত, এই কথায় নাকি জানিয়ে দেওয়া হবে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভ্লদিমির জেলেনেস্কিকে।

উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংগঠন বা NATO তে যোগদানের জন্য, ইউক্রেন খুব বেশিই দূর্নীতি গ্রস্ত, এই কথাই নাকি জানিয়ে দেওয়া হবে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভ্লদিমির জেলেনেস্কিকে।

NATOর সদস্যতার প্রক্রিয়া এগোনের আগে দূর্নীতির সমস্যা সমাধানে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হতে পারে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতিকে। মার্কিন স্বরাষ্ট্র বিভাগের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের উদধৃতি দিয়ে ২রা জুলাই এমনই দাবি করেছে ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফ

আগামী ৯-১১ই জুলাই ওয়াশিংটন ডিসিতে বসতে চলেছে NATOর বাৎসরিক সম্মেলন। তার আগে এই খবর অবশ্যই ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির কাছে বড় ধাক্কা।

দূর্নীতির অভিযোগ ইউক্রেনের প্রশাসনের বিরুদ্ধে নতুন নয়। বহুবার রুশ বিরোধী যুদ্ধের জন্য পশ্চিমা দেশ থেকে প্রাপ্ত অর্থ তুচ্ছরূপের অভিযোগ এসেছে। শুধু তাই নয়, রাশিয়াকে ঠেকাতে পশ্চিমা দেশ গুলো থেকে প্রাপ্ত অস্ত্র ম্যাক্সিকোর ড্রাগ মাফিয়াদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে, এমন অভিযোগও উঠেছে। অন্যদিকে ইউক্রেনকে সাহায্য করতে গিয়ে অর্থ সঙ্কটে ভুগছে NATO ভুক্ত দেশ গুলো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিরোধী নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প বা ফ্রান্সে বিরোধী নেত্রী লে পেন ইউক্রেন যুদ্ধে সাহায্য বন্ধের দাবি জানিয়ে ব্যপক জনসমর্থন আদায় করে সরকারকে চাপে ফেলেছে।

প্রসঙ্গত মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট NATOতে যোগদানের বিষয়টি রুশ-ইউক্রেন সঙ্ঘাতের অন্যতম কেন্দ্র। রাশিয়ার দাবি ইউক্রেনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটে যোগ না দিয়ে, নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে অবস্থান করতে হবে। ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর আগে NATOতে ইউক্রেনের যোগদেওয়ার প্রক্রিয়াকেই সঙ্ঘাতের অন্যতম ইস্যু বলে দাবি করে রুশ পক্ষ। কিন্তু রাশিয়ার আপত্তিকে আমল দিতে রাজি ছিলো না NATO বা ইউক্রেন কোনো পক্ষই। বর্তমানে রুশ রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তিতে ইউক্রেনের NATOতে যোগদান না করার বিষয়টি আবার উত্থাপন করা হয়েছে।

Leave a comment
scroll to top