প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ইসরায়েলের অতি-ডানপন্থী মন্ত্রিসভা গুরুতর ঝুঁকির মুখোমুখি হতে পারে এবং জনসমর্থনের কারণে পদত্যাগ করতে বাধ্য হতে পারে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স (ODNI) অফিস সতর্ক করেছে। গত সোমবার ১১ই মার্চ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওডিএনআই উল্লেখ করেছে যে একটি “ভিন্ন, আরও মধ্যপন্থী সরকার” অদূর ভবিষ্যতে লাগাম হাতে নিতে পারে। সেই সঙ্গে নেতানিয়াহুর পতন এবং পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে গণবিক্ষোভের আঁচও পাচ্ছেন তারা।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে “নেতানিয়াহুর কার্যক্ষমতা এবং সেইসঙ্গে ফিলিস্তিনি ও নিরাপত্তা ইস্যুতে কঠোর নীতি অনুসরণকারী অতি-ডান ও আল্ট্রা-অর্থোডক্স দলগুলির তার শাসক জোট হুমকির মুখে পড়তে পারে।” ওডিএনআই-এর নথি অনুসারে, “নেতানিয়াহুর শাসন করার ক্ষমতার প্রতি অবিশ্বাস জনসাধারণের মধ্যে গভীর এবং বিস্তৃত হয়েছে”। এই বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতি এমন কিছু যা সম্ভাব্যভাবে ইসরায়েলের জনতাকে “তার পদত্যাগ এবং নতুন নির্বাচনের দাবিতে বৃহৎ বিক্ষোভের দিকে পরিচালিত করতে পারে।” স্বভাবতই এর ফলে ইসরায়েলে নেতানিয়াহু সরকারের ঝুঁকির কথা তুলে ধরেছেন তারা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত কয়েকমাস যাবৎ ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে জাতিসংঘের একের পর এক প্রস্তাবে ভেটো প্রয়োগ করে গিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা করারও অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এটাও স্পষ্ট যে ক্রমেই ইসরায়েলের বর্তমান সরকার এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব দানা বাঁধছে। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের মুখে নেতানিয়াহুর সরকার বিরোধী এমন তথ্য তাই সেই দ্বন্দ্বেরই বহিঃপ্রকাশ কি? এমনও প্রশ্ন উঠছে।