Close

নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাশ: রমজান মাসে হবে না যুদ্ধ

রমজান মাসে যুদ্ধ বিরতির দাবিতে প্রস্তাব পাশ করেছে নিরাপত্তা পরিষদ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল।

রমজান মাসে যুদ্ধ বিরতির দাবিতে প্রস্তাব পাশ করেছে নিরাপত্তা পরিষদ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল।

সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পবিত্র রমজান মাস চলার জন্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছে। নিরাপত্তা পরিষদের ১৪ জন সদস্য এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল। রমজান ১০ মার্চ শুরু হয়েছিল এবং শেষ হবে ৯ই এপ্রিল। উক্ত প্রস্তাবে বন্দীদের অবিলম্বে এবং নিঃশর্ত মুক্তি এবং গাজায় সাহায্যের “প্রবাহ প্রসারিত করার জরুরি প্রয়োজন” দাবি করা হয়েছে।

ভোটের পর বক্তব্য রাখতে গিয়ে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পাস করতে বিলম্বের জন্য হামাসকে দায়ী করেন। অন্যদিকে তিনি জানান জাতিসংঘের এই প্রস্তাবের সাথে যুক্তরাষ্ট্র একমত নয়। “আমরা প্রস্তাবের সবকিছুর(দাবির) সাথে একমত নই,” তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকার পেছনে যুক্তি ব্যাখ্যা করার সময় বলেছিলেন। থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, “হামাসের নিন্দা যোগ করার জন্য আমাদের অনুরোধ সহ কিছু বিষয় মূল সম্পাদনা থেকে উপেক্ষা করা হয়েছিল।” তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন যে বন্দীদের মুক্তি মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করবে।

অপরদিকে জাতিসংঘের প্রস্তাবিত এযাবৎ তিনটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য দুটি প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে। এদিকে আবার, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এর আগে ওয়াশিংটনে তাঁর পরিকল্পিত সফর বাতিল করার হুমকি দিয়েছিলেন এই বলে যে যুক্তরাষ্ট্রকে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো প্রস্তাবে অবশ্যই ভেটো দিতে হবে। এই দিন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এক্স (আগের টুইটার)-এ পোস্ট করেছেন যে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রস্তাবটির অবশ্যই বাস্তবায়ন করা উচিত এবং এর ব্যর্থতা “ক্ষমাযোগ্য হবে না।”

নভেম্বরে এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতি চলাকালীন কয়েক ডজন ইসরায়েলি বন্দীকে পরবর্তীতে একাধিক অদলবদলের মাধ্যমে মুক্ত করা হয়। তবে, ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, গাজায় এখনও প্রায় ১৩০ জনকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। এদিকে সাম্প্রতিক মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসরায়েল হামাসের হাতে এখনও বন্দী ৪০ জন বন্দীর বিনিময়ে ৮০০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে।

লেখক

Leave a comment
scroll to top