রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়ানোর লক্ষ্যেই ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিমান হামলা। রাতারাতি, সম্মিলিত আক্রমণ কয়েক ডজন সাইটকে নিশানা করেছে যা ওয়াশিংটন এবং লন্ডন দাবি করে যে সেগুলো আদতে হুথি সামরিক সম্পদ। ইসরায়েলকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য লোহিত সাগরে সামুদ্রিক যান চলাচল ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে শিয়া আন্দোলন হুথির প্রচেষ্টার প্রতিক্রিয়ায় এই সামরিক পদক্ষেপ এসেছিল। গাজায় গত তিন মাসের অবরোধের প্রতিক্রিয়ায় হুথিরা ইহুদি রাষ্ট্রের সাথে যুক্ত বলে দাবি করা জাহাজগুলোকে গত দুই মাস যাবৎ টার্গেট করছিল।
যখন বেশ কয়েকটি দেশ এই হামলায় অংশ নিয়েছিল, তখন জাখারোভা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এই কর্মের নেতৃস্থানীয় শক্তি হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন। শুক্রবার সকালে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে, তিনি তাদের “পশ্চিমা ধ্বংসাত্মক লক্ষ্যগুলির জন্য পরিস্থিতি বৃদ্ধির নামে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সম্পূর্ণ অবহেলার” উদাহরণ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের মতে, ইয়েমেনে হামলাগুলি যুক্তরাজ্যের সাথে সমন্বয় করে এবং অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নেদারল্যান্ডস এবং বাহরাইনের সমর্থনে পরিচালিত হয়েছিল। সেন্ট্রাল কমান্ড দাবি করেছে যে ওয়াশিংটনের লক্ষ্য ছিল আদতে “উত্তেজনা কমানো এবং লোহিত সাগরে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা।”
মস্কো গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবিত প্রস্তাবে বাধা দিয়ে মধ্যপ্রাচ্য সংঘাত নিরসনের আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর অভিযোগ করেছে। ইসরায়েল অক্টোবরের শুরুতে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের একটি মারাত্মক অনুপ্রবেশের প্রতিক্রিয়ায় এই অভিযান শুরু করে এবং দাবি করে যে তার লক্ষ্য এই হুমকিকে উচ্ছেদ করা। যদিও উচ্চ সংখ্যক বেসামরিক হতাহতের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের জন্য সামরিক সহায়তা প্রদান করেছে। স্থানীয় কর্মকর্তাদের মতে ফিলিস্তিনি ছিটমহলে অন্তত ২৩০০০ মানুষ নিহত হয়েছে যা এর জনসংখ্যার প্রায় ১ শতাংশ তদুপরি যার মধ্যে ১০০০০ নিহতই শিশু অর্থাৎ মোট নিহতের ৫০ শতাংশ।