আজ ভোরবেলা পশ্চিম তীর দখলকৃত অঞ্চলের উত্তরে “ইতামার” বসতিতে গুলিবর্ষণ অভিযানে দুই জন ইসরায়েলী বসতি স্থাপনকারী গুরুতর আহত হন। এই প্রসঙ্গে ফিলিস্তিনের মার্কসবাদী-লেনিনবাদী কমিউনিস্ট সংগঠন পিএফএলপি পশ্চিম তীরে সংঘাত অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে। পিএফএলপি বিবৃতিতে জানিয়েছে, “পিএফএলপি, আজ ভোরবেলা পশ্চিম তীর দখলকৃত অঞ্চলের উত্তরে “ইতামার” বসতিতে যে বীরত্বপূর্ণ গুলিবর্ষণ অভিযান চালানো হয়েছিল, তার প্রশংসা করে এবং নিশ্চিত করে যে এটি সঠিক সময় এবং স্থানে চালানো হয়েছিল।”
পিএফএলপি আরও জানিয়েছে, “ব্যাপক ও চলমান আগ্রাসন, দখলদার সৈন্যদের ক্রমাগত আগ্রাসন, হত্যা, গ্রেফতার এবং পশ্চিম তীরের শহর, গ্রাম এবং শিবিরে কঠোর অবরোধ সত্ত্বেও, ফ্রন্ট গাজায় বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধের সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতাকে মূর্ত করে। যা আবার প্রমাণ করে যে এটি চেকপয়েন্ট, গুরুত্বপূর্ণ জায়নবাদী নিরাপত্তা সতর্কতা এবং উচ্চ সতর্কতা সত্ত্বেও গাজা স্ট্রীপ জায়নবাদী সৈন্য এবং বসতি স্থাপনকারীদের বেদনাদায়ক স্ট্রাইক মোকাবেলা করতে শক্তিশালী এবং সক্ষম।”
পিএফএলপি তাদের ‘শত্রুপক্ষের’ বিরুদ্ধে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে, ইসরায়েলের ‘দখলদার’-দের বিরুদ্ধে আক্রমণ প্রশস্ত করার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, “পশ্চিম তীর এবং আল-কুদ্সে আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে চলমান অপরাধের প্রতিক্রিয়ায়, ফ্রন্ট প্রতিরোধী গোষ্ঠী এবং বাহিনীকে পশ্চিম তীর জুড়ে শত্রুর বিরুদ্ধে ফায়ার রেঞ্জ এবং খোলা সংঘর্ষের পরিধি প্রসারিত করে, শত্রুর জন্য একটি স্থায়ী ব্যস্ততা তৈরি করার, তাদের বিভ্রান্ত করার এবং নিঃশেষ করার আহ্বান জানিয়েছে।” পশ্চিম তীরে গণ জমায়েতের কথা উল্লেখ করে পিএফএলপি বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, “ফ্রন্ট পশ্চিম তীর জুড়ে স্থায়ী গণজমায়েতের পাশাপাশি জনপ্রিয় সমর্থন এবং স্থায়ী গণজমায়েতের গতি অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়, যা অবশ্যই বীর গাজা উপত্যকায় চলমান গণহত্যা এবং পশ্চিম তীর এবং আল-কুদ্সে আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে চলমান অপরাধের পাশাপাশি বন্দী আন্দোলনের বিরুদ্ধে অনুশীলনের স্কেল অনুসারে হওয়া উচিত।”
অধিকৃত পশ্চিম তীরে জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের লাগাতার অভিযানে কমপক্ষে ১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়েছে। কাসাম ব্রিগেড জানিয়েছে তারা শহরের গভীরে প্রবেশ করার সময় প্রতি মুহূর্তে ইসরায়েলের বাহিনীর সম্মুখীন হচ্ছে। উত্তরে জাবালিয়া শিবিরে এবং পশ্চিম গাজার সাবরাতে লাগাতার ইসরায়েলী বোম বর্ষণে প্রায় কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফিলিস্তিনের স্থানীয় প্রশাসনের মতে গত তিন দিন যাবৎ ইসরায়েল লাগাতার ফিলিস্তিনের আটটি হাসপাতালে বোমাবর্ষণ করেছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে ফিলিস্তিনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০,৮১২ জন।
ইন্দ্রাণী চক্রবর্তী
ইন্দ্রাণী চক্রবর্তী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর সাংবাদিকতার ছাত্রী ও ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক, যিনি শ্রম, কৃষি ও রাজনীতি নিয়ে রিপোর্টিং করেন।