দক্ষিণ-পশ্চিম রিকজেন্স উপদ্বিপে শক্তিশালী ভূকম্পন অনুভূত হওয়ার পর আইসল্যান্ড জরুরী অবস্থা জারী করেছে। আইসল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি গুডনি জোহান্সন ঘোষণা করেছেন যে, গ্রিন্ডাভিক শহর থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে শনিব্র সকালের মধ্যে প্রায় ৮০০টি ভূকম্পন অনুভুত হয়েছে বলে আইসল্যান্ডের আবহাওয়া দপ্তর শনিবার জানিয়েছে। দপ্তরের বয়ান অনুযায়ী, “অদূর ভবিষ্যতে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সম্ভবনা যথেষ্ট”। রাত না পেরোতেই নাগরিক সুরক্ষা মন্ত্রক এবং জরুরী অবস্থা ব্যবস্থাপনা “জরুরী অবস্থা” জারি করে এবং ৩,৩০০ জন বাসিন্দা সম্বলিত মৎস্যজীবীর শহর গ্রিন্ডাভিকের বাসিন্দাদের এলাকা খালি করে দেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়।
আইসল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি এক্স-এ পোস্ট করে জানান, গ্রিন্ডাভিক সাফল্যের সাথে খালি করা গিয়েছে এবং সংযোজন করেন, “আইসল্যান্ডে আমরা প্রকৃতির শক্তির ধারণা রাখি; আমরা ভালোর আশা করি কিন্তু আমরা সমস্ত ভবিতব্যের জন্য তৈরি রয়েছি”। আইসল্যান্ডের জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যম আরইউভি রিপোর্ট করেছে, একটি ম্যাগমা করিডর শহরের তলায় শায়িত রয়েছে। এই ফাটল যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো অংশ থেকে বিষ্ফোরিত হয়ে লাভার উদ্গীরন হতে পারে। এই সাম্ভাব্য অঞ্চলের মধ্যে এই শহর অন্যতম। একজন স্থানীয় আগ্নেয়গিরি বিশারদ আরইউভি-কে বলেছেন, “অগ্ন্যুৎপাত-এর সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে… এটি কয়েক ঘন্টা এমনকি কয়েক দিনের মধ্যেও হতে পারে”।
গত জুলাই মাসে, রিকজেন্স উপদ্বীপে একটি অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটেছে। গত তিন বছরে এটি এই অঞ্চলে অগ্ন্যুৎপাতের তৃতীয় ঘটনা। গত তিন বছরে প্রথম অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনাটি ঘটে ২০২১ সালে। তার আগে এই উপদ্বীপে গত ৮০০ বছরের মধ্যে কোন অগ্ন্যুৎপাত-এর ঘটনা ঘটেনি। আইসল্যান্ডে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা স্বাভাবিক কিন্তু অপূর্বাভাসযগ্য। এই উদ্গীরণ অল্প সময় অথবা বেশি সময়ের তফাতে ঘটতে পারে। গোটা আইসল্যান্ড জুড়ে ১৩০রও বেশি সুপ্ত আগ্নেওগিরি রয়েছে। এর আগে এই দেশের সাম্প্রতিক বৃহত্তম অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটেছে ২০১০ সালে। এই অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় ইউরোপীয় বিমান পরিসেবা বড় সময়ের জন্য স্থগিত হয় এবং হাজার হাজার উড়ান বাতিল করা হয়।