রবিবার ৯ জুলাই সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন যে রাশিয়ার সাথে চলমান যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেন উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থার (ন্যাটো) সদস্যপদ নিতে প্রস্তুত নয়। প্রেসিডেন্ট বিডেন সিএনএনকে বলেন, “এই মুহূর্তে, যুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে ইউক্রেনকে ন্যাটো পরিবারে আনতে হবে কি না সে বিষয়ে ন্যাটোতে ঐক্যমত্য আছে বলে আমি মনে করি না।”
এর আগে ন্যাটে সদস্যভুক্ত বিভিন্ন রাষ্ট্র ইউক্রেনের ন্যাটোয় যোগথান করার বিষয়ে বিরূপ মথ পোষণ করেছিল। গত শুক্রবার দুই মার্কিন বিশ্লেষক দাবি করেছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে স্বাগত জানানো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার সাথে পারমাণবিক যুদ্ধের প্রস্তুতি বা কিয়েভের প্রতি তার নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি ত্যাগ করার মধ্যে একটি বেছে নিতে বাধ্য করবে। জাস্টিন লোগান এবং লিবারেটেরিয়ান ক্যাটো ইনস্টিটিউটের জোশুয়া শিফ্রিনসন ফরেন অ্যাফেয়ার্স ম্যাগাজিনে লিখেছেন, “ইউক্রেনের জোটে যোগদানের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তাজনিত সুবিধাগুলি জোটে আনার ঝুঁকির তুলনায় ম্লান।”
গত কাল তুর্কির রাষ্ট্রপতি এরদোগান এই সমস্ত প্রতিক্রিয়ায় একপ্রকার বিপক্ষে গিয়ে জানান যে ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যপদ নেওয়ার উপযুক্ত। এতদিন এই মর্মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনূর কোনো বক্তব্য জানা জায়নি। আজ বাইডেন ইউক্রেনের ন্যাটোয় যোগদানের বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। এছাড়াও রবিবার ন্যাটো রাষ্ট্র স্পেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্গারিটা রোবেলস মন্তব্য করেছেন যে, ইউক্রেনের সাথে প্রতিরক্ষার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকলেও তার প্রতিরক্ষাবাবদ ক্লাস্টারবোমা কিছুতেই সরবরাহ করা সম্ভব নয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন যে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইউক্রেন উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থায় (ন্যাটো), ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার দেশগুলির একটি আন্তঃসরকারি সামরিক জোটে যোগ দিতে প্রস্তুত নয়। যাইহোক, বিডেন আরও বলেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য মিত্ররা ইউক্রেনীয় বাহিনীকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা এবং অস্ত্র সরবরাহ করতে থাকবে, যা গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়েছিল। যদিও একের পর এক ন্যাটো রাষ্ট্রগুলির এই সুর বদল ইউক্রেনের কপালে ঠিক কতটা ভাঁজ ফেলেছে তা জানা যায়নি।