আজ সকালে ওয়ার্ল্ড অফ সট্যাটিসটিকস-এর ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে একটি তথ্য সমীক্ষা পেশ করা হয় যেখানে দেখা যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি হাজার জন পিছু ১১০ জন অ্যান্টি-ডিপ্রেস্যান্ট ঔষধ গ্রহণ করে। রাশিয়ান নাগরিকদের যেখানে প্রতি হাজার জন পিছু ২৩ জন এবং ভারতে ৯ জন অ্যান্টি ডিপ্রেস্যান্ট গ্রহণ করে।
অন্যদিকে ফাইনান্সিয়াল ইন্ডেক্সের একটি ট্যুইট থেকে জানা যাচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যার ৬% মদ্যপান এবং ড্রাগ ব্যবহারের সাথে যুক্ত। নেটিজেনদের একাংশের বক্তব্য, বছরভর যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতি, রাষ্ট্রের আর্থিক সংকট এবং ওয়ার্ক লাইফ ইম্ব্যালেন্স এই অ্যান্টি-ডিপ্র্যাস্যান্ট গ্রহন করার অন্যতম কারণ।
ওয়ার্ল্ড অফ সট্যাটিসটিকস-এর এই ট্যুইট কে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়েছে ভারতীয় নেটিজেনদের মধ্যেও। ভারতীয় নেটিজেনদের একাংশের বক্তব্য, ভারতের ক্ষেত্রে এই পরিসংখ্যান সম্পূর্ণ সঠিক নয়। মানসিক অসুস্থতা নিয়ে এখনও প্রচুর ছুৎমার্গ রয়েছে। লিগাল সার্ভিসেস ইন্ডিয়ার লকডাউনকালীন একটি সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে যে প্যান্ডেমিকের সময় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের পরিমাণ একধাপে তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ভারতে।
ওই সমীক্ষা থেকে আরও জানা যাচ্ছে লকডাউনের সময় ৬৫% নারী, ২০% শিশু, ৬% পুরুষ মৌখিক নির্যাতনের শিকার। তার চেয়েও ভয়ঙ্কর বিষয়, এদের সিংহভাগই এই লাগাতার নির্যাতনের থেকে হওয়া মানসিক সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা ভাবেন না।
এছাড়াও ২০২১ সালের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পেপার থেকে জানা যাচ্ছে, ভারতে হেভাজৎকালীন মৃত্যুর (খুন এবং আত্মহত্যা) ৯৮% ঘটে হেফাজতকালীন মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের কারণে হয়। মানসিক অসুস্থতা যেখানে সামাজিক ট্যাবু এবং ‘মৌলিক অধিকার’ হিসেবে স্বাস্থ্যও যখন সবার কাছে পৌঁছায় না তখন অ্যান্টি-ডিপ্রেস্যান্ট সেবনের এই সাধারণ পরিসংখ্যান আসলে মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা ব্যক্ত করে না বলেই মনে করছেন নেটিজেনরা।