সৌদি আরব জুলাই মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তেল রপ্তানি কমাতে পারে, যার ফলে পশ্চিমা বাজারগুলি সংকটের সম্মুখীন হবে, সোমবার ব্লুমবার্গ রিপোর্ট করেছে। সৌদি আরব পরের মাসে একতরফাভাবে তার অপরিশোধিত উৎপাদন প্রতিদিন ১ মিলিয়ন ব্যারেল (bpd) কমাতে প্রস্তুত, যা ১০% হ্রাসের সমান। এই পদক্ষেপটি দেশের মোট উৎপাদন একদিনে ৯ মিলিয়ন ব্যারেলে কমিয়ে দেবে, যা ২০১১ সালের পর এটির সর্বনিম্ন স্তর। ব্লুমবার্গের অনুমান অনুযায়ী, সৌদি আরবের তেল উৎপাদন কমানোর পর, রিয়াধের রপ্তানির জন্য ৬ মিলিয়ন ব্যারেলের কম মজুত থাকবে। ফলস্বরূপ, পশ্চিমা দেশগুলিতে তেল রপ্তানি সৌদি আরবের প্রাথমিক বাজার এশিয়ায় রপ্তানির চেয়ে বেশি প্রভাবিত হতে পারে বলে আউটলেটটি পূর্বাভাস দিয়েছে।
সৌদি আরবের অপরিশোধিত তেলের অধিকাংশটাই যাবে সুয়েজের পূর্বে। জানা গিয়েছে সৌদির রাষ্ট্রায়ত্ব অয়েল জায়ান্ট সৌদি আরামকো এশিয়ার শোধনাগারগুলিকে জানিয়েছে যে তারা যত আবেদন করবে ততই অপরিশোধিত তেল পাবে। যথারীতি, এতে যা কিছু ঘাটতি তা পশ্চিমে, মূলত ইউরোপ ও মার্কিন মুলুকেই হবে বলে অনুমান করা যাচ্ছে।
রিয়াধ তার ঐতিহ্যবাহী এশীয় বাজারে সরবরাহকে অগ্রাধিকার দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি সঙ্কুচিত করে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারকে জোরপূর্বক সংকমুখী করতে পারে বলে পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। ইনভেন্টারি রিপোর্টের তথ্য যাচাই করে এ সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হওয়া যায়। আরামকো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোটিভায় বৃহত্তম শোধনাগার নিয়ন্ত্রণ করে এবং পোর্ট আর্থারে ৬৩০০০০ বিপিডি সরবরাহকে প্রভাবিত করতে পারে বলে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে সৌদি আরবের অপরিশোধিত তেলের উপর কম নির্ভরশীল বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।
সৌদি আরবের এই অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন জুলাইয়ের পরেও আরও হ্রাস করা হতে পারে বলে সৌদির জ্বালানি মন্ত্রী যুবরাজ আবদুল আজিজ বিন সালমান জানিয়েছেন। এই সম্ভাব্য পদক্ষেপটি রিয়াধের, রাশিয়া সহ বেশ কয়েকটি বৃহৎ OPEC+ উৎপাদকদের মধ্যে সম্মত হওয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সঙ্কোচনে যুক্ত হবে, যা গত মে মাসে কার্যকর হয়েছিল। ২০২৩ সালের শেষ পর্যন্ত প্রায় ১.৬৬ মিলিয়ন ব্যারেলের দৈনিক সঙ্কোচন পূর্ববর্তী চুক্তির শীর্ষে এসেছিল, যা OPEC+ এর মোট আউটপুট দৈনিক ৩.৬৬ মিলিয়ন ব্যারেল বা বিশ্বব্যাপী তেলের চাহিদার ৩.৭% হ্রাস করেছে।