Close

ইসলামিক স্টেটের (ISIS) হামলায় বুশ-ওবামাদের ক্ষতিপূরণ দিতে বললো ইরানের আদালত

ISIS দ্বারা পরিচালিত একটি হামলার জন্য মার্কিন সরকার, বুশ, ওবামা সহ বেশ কয়েক ব্যক্তি ও সংস্থার থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে ইরান।

ইসলামিক স্টেটের (ISIS) হামলায় বুশ-ওবামাদের ক্ষতিপূরণ দিতে বললো ইরানের আদালত

Source: 2017 Tehran attack, Iran's govt media

বুধবার, ২৬শে এপ্রিল, ইরানের বিচার বিভাগের আন্তর্জাতিক ও মানবাধিকার বিষয়ক বিভাগ সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (ISIS) দ্বারা পরিচালিত ২০১৭ সালের একটি হামলার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জর্জ ওয়াকার বুশ, বারাক ওবামা সহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও সংস্থাকে অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে রায় দিয়েছে।

বিচার বিভাগের অফিসিয়াল নিউজ ওয়েবসাইট অনুসারে, তেহরানে ২০১৭ সালের জুনে হামলার সময় তিনজন নিহত এবং ছয়জন আহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানীর আদালত এই রায় দেয়।

২০১৭ সালে ইরানের জাতীয় সংসদ ভবন এবং ইসলামি বিপ্লবের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ইমাম খোমেনির মাজারে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য কয়েক কোটি ডলার আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে আমেরিকাকে নির্দেশ দিয়েছে ইরানের একটি আদালত। ইসলামিক স্টেটের ওই হামলায় যে সমস্ত পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরকে এই অর্থ দিতে হবে। তেহরানের বিচার আদালতের ৫৫তম শাখায় ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। মামলায় কয়েক দফা শুনানি শেষে আদালত  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ওবামা ও বুশ, আমেরিকার প্রাক্তন কমান্ডার জেনারেল টমি ফ্রাঙ্কস, সিআইএ, মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড বা সেন্টকম, অর্থ মন্ত্রণালয়, অস্ত্র নির্মাণ কোম্পানি লকহিড মার্টিন এবং এয়ারলাইন্স গ্রুপের উপর জরিমানা ধার্য করে। মোট ৩১ কোটি ২৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালত জানিয়েছে “সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সংগঠিত ও পরিচালনায়” মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের “মৌলিক” ভূমিকা সম্পর্কে আমেরিকান কর্মকর্তাদের মন্তব্য, মার্কিন মিডিয়া দ্বারা প্রকাশিত সংবাদ, তথ্য, বই ও বক্তৃতা কে প্রমাণ হিসেবে ধরে উক্ত ব্যক্তিদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

ইরানের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যাতে আর আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন না করে এবং ইসলামিক স্টেটের (ISIS) মতো উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন না দেয় সেজন্য এই রায় দেওয়া হয়েছে। এতে ওই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো নৈতিক, বস্তুগত ও আর্থিক ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আশা করা হয়েছে।

যদিও দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বা সংস্থাগুলোর সম্পত্তি ইরানের নিয়ন্ত্রাধীন এলাকায় না থাকে তবে কীভাবে এই ক্ষতিপূরণ আদায় করা হবে তা স্পষ্ট নয়।

Leave a comment
scroll to top