গত সোমবার, ২৮শে ফেব্রুয়ারি, মার্কিন সেনেটর টেড ক্রুজ বিবৃতি জারি করে ব্রাজিলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিলেন। ক্রুজ বাণিজ্য, বিজ্ঞান এবং পরিবহন সংক্রান্ত সিনেট কমিটি এবং সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির সদস্য।
ক্রুজ বলেন “ব্রাজিলের ডকে ইরানের দুটি যুদ্ধ জাহাজকে নোঙর ফেলতে দেওয়া একটি বিপজ্জনক ঘটনা প্রবাহ এবং মার্কিন নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি স্বরুপ। নির্দিষ্ট ভাবে এই ধরনের বিপদকে ঠেকানো এবং প্রত্যুত্তর দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এবং সন্ত্রাস বিরোধী আইন আছে।”
তিনি আরো বলেন যে ব্রাজিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পর্যাপ্ত পরিমানে সহযোগিতা করছে কিনা, এই বিষয়ট পুনর্মূল্যায়ণ করা উচিত। প্রশাসন যদি এটা না করে তবে কংগ্রেসের উচিত এটা করতে বাধ্য করা।
ইরানের নৌসেনার দেনা এবং পণ্যপরিবহনকারী জাহাজ বিশ্ব ভ্রমণে বেড়িয়েছে। পানামা খালের উদ্দেশ্যে যাওয়ার আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারিতে রবিবার জাহাজ দুটি রিও বন্দরে পৌছায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ব্রাজিলের কাছে ঐ জাহাজ দুটিকে নোঙর ফেলার অনুমতি খারিজ করার জন্য আবেদন জানায়।
ক্রুজ ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি লুলা দা সিলভাকে “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে একত্রিত” হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে হোয়াইট হাউসে লুলাকে আপ্যায়ন করার সময় বাইডেন হয় মার্কিন উদ্বেগের কথা তার কাছে জানাননি, “অথবা ব্রাজিলিয়ানরা পাত্তা দেয়নি। “
ব্রাজিলে বসবাসকারী একজন আমেরিকান সাংবাদিক গ্লেন গ্রিনওয়াল্ড উল্লেখ করেছেন যে ক্রুজের বক্তব্য বিশ্ব মঞ্চে মার্কিন ভন্ডামীকে তুলে ধরে।
“মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে সমস্ত দক্ষিণ আমেরিকাকে তার সম্পত্তি হিসাবে বিবেচনা করে, এবং নিজেকে পুরো অঞ্চলের সর্বোচ্চ শাসক হিসাবে দেখে,” গ্রিনওয়াল্ড টুইট করেছেন।
গ্রিনওয়াল্ড যোগ করেছেন, “যদি ইউক্রেনের রুশ সীমান্তে ন্যাটোর সমস্তকিছু আপ্যায়নের অধিকার থাকে, তবে ব্রাজিলেরও যেকোন জাহাজকে আপ্যায়নের অধিকার আছে।”