গত বৃহস্পতিবার, ৩০শে মার্চ, পেরু কলম্বিয়া থেকে রাষ্ট্রদূত ফেলিক্স রিকার্ডো আমেরিকান আন্তোনিও ডেনেগ্রি বোজাকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশ প্রকাশ করেছে। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো অভ্যুত্থান-পরবর্তী পেরুকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত করে সমালোচনা করার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সংবাদ সংস্থা কাওসাচুন নিউজ জানিয়েছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, পেরুতে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়কালে, ২০২২ সালে কংগ্রেস ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করার পরে পেরুর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গুস্তাভো কাস্টিওকে ইমপিচ করা হয়েছিল এবং ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল। এর পরে, বর্তমান রাষ্ট্রপতি দিনা বোলার্ট দেশের ডানপন্থী রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সমর্থন নিয়ে রাষ্ট্রপতি হন এবং একটি সেনাবাহিনী পরিচালিত বেসামরিক সরকার গঠন করেন।
এর আগে, গত মাসে কংগ্রেসে হওয়া একটি ভোটের মাধ্যমে পেরু পেট্রোকে তার সমালোচনামূলক মন্তব্যের জন্য ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ (একজন অবাঞ্ছিত ব্যক্তি) ঘোষণা করেছিল। পাশ হওয়া প্রস্তাবটির অর্থ হল যে পেট্রো ভবিষ্যতে আর পেরুর জাতীয় অঞ্চলে প্রবেশ করতে পারবে না। বলিভিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেসের বিরুদ্ধেও একই কারণে এইরকম একটি প্রস্তাব পাস করেছিল পেরু।
সম্প্রতি সমাপ্ত ২৮ তম আইবেরো-আমেরিকান শীর্ষ সম্মেলনে তার বক্তৃতার সময়, পেট্রো পেরুর অভ্যুত্থানকে সমালোচনা করেছিলেন। তিনি বৈধ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত পেরুর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গুস্তাভো কাস্টিওর ক্ষমতাচ্যুতির জন্য এই অভ্যুত্থানটিকে দায়ী করেছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি বৈধ উপায়ে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি কাস্টিওর ঐ সম্মেলনে অনুপস্থিতি নিয়েও খেদ প্রকাশ করেন।
পেরু কলম্বিয়া থেকে তার রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করার আগে, মেক্সিকো, বলিভিয়া প্রভৃতি দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলির সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। প্রসঙ্গত এই দেশগুলির সাথে পেরু দীর্ঘদিন ধরেই সুসম্পর্ক উপভোগ করেছিল।
পেরুর শাসকগোষ্ঠীর উপর অনেকদিন থেকেই বিরোধী রাজনৈতিক মতাবলম্বীদের দমন পীড়নের অভিযোগ উঠছে, তার মধ্যেই কলম্বিয়া থেকে পেরুর রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার দক্ষিণ আমেরিকার রাষ্ট্রগুলির মধ্যে রাজনৈতিক বিভক্তি স্পষ্ট করে তুলেছে।