প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিচার বিভাগীয় সংস্কার কর্মসূচি বিরোধী আন্দোলনে এবার প্রকাশ্যেই ইজরায়েলের বিমান বাহিনীও সামিল হয়েছে। ৬৯তম ফাইটার স্কোয়াড্রনের ৪০জন যোদ্ধার মধ্যে ৩৭ জন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে বিচার বিভাগীয় সংস্কারের বিরুদ্ধে বুধবার ৯ই মার্চ বিমানবাহিনীর মহরা তারা বয়কট করছে।
টাইমস অফ ইজরায়েল জানিয়েছে মঙ্গলবার প্রতিবাদী বায়ু সেনারা বিবৃতি দিয়ে জানায় যে কমান্ডারদের সাথে তারা আলোচনায় বসতে রাজি কিন্তু বুধবারের মহরা তার বয়কট করছেন।বিক্ষোভকারী বায়ু সেনারা বিবৃতিতেতে জানিয়েছে “আমরা আমাদের কমান্ডারদের আহ্বানে সাড়া দিচ্ছি এবং সৈন্যদের সাথে সংলাপের জন্য আগামীকাল ইউনিটে রিপোর্ট করব। আমাদের কমান্ডারদের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে এবং যতদিন প্রয়োজন হবে ততদিন আমরা ইহুদি ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ইসরায়েলের সেবা চালিয়ে যাব,”
প্রসঙ্গত ইজরায়েলের অতি ডানপন্থী নেতানিয়াহু সরকার বিচার বিভাগের ক্ষমতা খর্ব করার জন্য সংসদে বিল উত্থাপন করেছে যার ফলে আইনসভা(লেজিসলেচর) এবং কার্যনির্বাহী(এক্সিকিউটিভ) এর বিরুদ্ধে বিচার বিভাগের রায় দানের ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ করে। এই বিলের বলে ইজরায়েলের ১২০ আসন বিশিষ্ট পার্লামেন্ট ক্নেসেটের ৬১ টি ভোট অর্থাৎ সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে বিচার বিভাগের সিদ্ধান্ত নাকচ করা যাবে।
আইনসভার পাস হওয়া কোনো আইন সংবিধান সম্মত কী না, সেটা সমীক্ষা করার অধিকার সুপ্রিম কোর্টের হাত থেকে চলে যাবে। বিক্ষোভকারীদের আশংকা এর ফলে ইজরায়েলের রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে “চেক এন্ড ব্যালেন্স” প্রক্রিয়া ধ্বংস হবে।
নতুন সংস্কারে সুপ্রিমকোর্ট সহ সমস্ত ক্ষেত্রে বিচারপতি নিয়োগে সররকারের ক্ষমতা বাড়বে। ফলত শাসক দলের পছন্দের বিচারপতি নিয়োগ হবার আশংকা থাকে। যা নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে।
প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর প্রতিবাদী বায়ু সেনাদের বিরোধী করে বলেছেন এটা “আমাদের অস্তিত্বের ভিত্তকেই হুমকি দেয়” যদিও তিনি উত্তেজনা না বাড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করার কথা বলেছেন।