Close

চীন-যুক্তরাষ্ট্রের ‘সামঞ্জস্যপূর্ণ’ সম্পর্ক চান কিসিঞ্জার

সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বর্তমান সময়ে এসে মার্কিন-চীন সম্পর্ক কে ভাল করার উপর জোর দেন ও পরস্পর কে বোঝার কথা বলেন।

চীন-যুক্তরাষ্ট্রের 'সামঞ্জস্যপূর্ণ' সম্পর্ক চান কিসিঞ্জার

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনকে অবশ্যই একে অপরকে ‘সম্পূর্ণরূপ’ বুঝতে হবে এবং বিশ্বের শান্তি ও অগ্রগতির সাথে আরও সামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার। 

চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার সম্প্রতি নিউইয়র্কে চীনের জেনারেল চেম্বার অফ কমার্স-চিজিসিসি-ইউএসএ’র বার্ষিক নববর্ষের অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় এ মন্তব্য করেন।  

এসময় কিসিঞ্জার বলেন, উভয় দেশের নেতারা সম্প্রতি বালিতে মিলিত হয়েছেন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উদ্বেগজনক প্রবণতাকে সঠিক পথে আনার একটি অভিপ্রায় জানিয়েছেন, এটি একটি ভাল লক্ষণ।

সংলাপকে উৎসাহিত করার সিদ্ধান্তগুলোকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, চীন সেই দিকে বেশ কয়েকটি বাস্তব পদক্ষেপ নিয়েছে। 

তিনি উল্লেখ করেন যে, কিভাবে আচরণ করতে হয় সে সম্পর্কে চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাদা ধারণা রয়েছে, এবং এটি উভয় পক্ষের বোঝা দরকার।

গত শতাব্দীর ছয় ও সাতের দশকে, দুই জন মার্কিন রাষ্ট্রপতির প্রশাসনে কাজ করা ৯৯ বছর-বয়সী কিসিঞ্জার বলেন, “প্রত্যেক দেশকে অন্যকে আরও সম্পূর্ণরূপে বুঝতে হবে”। চীন ও মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি দুই দেশ কে একে অপরকে ভাল করে বোঝার কথা বলেন।

কিসিঞ্জার বলেন, “চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্কৃতি এবং কীভাবে নিজেদের আচরণ করা যায় সে সম্পর্কে ভিন্ন ধারণা রয়েছে”।

মার্কিন-চীন সম্পর্ক উন্নয়নে অবদানের জন্য অনুষ্ঠানে কিসিঞ্জারকে চিজিসিসি-ইউএসএ লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত করা হয়। কিসিঞ্জার সাবেক চীনা কমিউনিস্ট নেতা মাও জেদং এর সাথে দেখা করেন ১৯৭১ সালে, ও ১৯৪৯ সালে মাও-র নেতৃত্বে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের পত্তনের পরে প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সরকারের (রিচার্ড নিক্সন প্রশাসনের) প্রতিনিধি হিসাবে চীন সফর করেন এবং চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব নিরসন করতে সাবেক চীনা প্রধানমন্ত্রী ঝৌ এনলাই-এর সাথে মিলে সম্মিলিত প্রয়াস করেন।

উল্লেখ্য, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে চীন-যুক্তরাষ্ট্র। চীন সরাসরি রাশিয়ার পক্ষে এবং ন্যাটো সামরিক জোটের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।চীনের অভিযোগ, ন্যাটো সামরিক জোট গেলো কয়েক দশকে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের নানা দেশে কয়েক লাখ মানুষকে হত্যা করেছে। পাশপাশি বিপুল পরিমাণ জ্বালানি লুট করেছে এসব দেশ থেকে।

Leave a comment
scroll to top