Close

সাবেক আফগান নারী সাংসদ মুরসাল নবীজাদাকে গুলি করে হত্যা

আফগানিস্তানের সাবেক মার্কিন-মদদপুষ্ট মহিলা সাংসদ মুরসাল নবীজাদা কে কাবুলে তাঁর বাসভবনে গুলি করে হত্যা করে অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীরা। ঘটনার তীব্র নিন্দা ঘরে-বাইরে।

সাবেক আফগান নারী সাংসদ মুরসাল নবীজাদাকে গুলি করে হত্যা

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে দেশটির সাবেক এক নারী সাংসদ, মুরসাল নবীজাদাকে নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন তার ভাই ও দেহরক্ষীও। 

রবিবার, ১৫ই জানুয়ারি, ৩২ বছর বয়সী মুরসাল নবীজাদাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তাঁর হত্যার ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে আফগানিস্তানে ও বিশ্বের অন্যান্য জায়গায়। 

মুরসাল নবীজাদা ছিলেন কয়েকজন মহিলা সাংসদদের মধ্যে একজন যারা ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান ক্ষমতা দখল করার পরেও কাবুলে থেকে গিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, দুই দশক আগে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আগ্রাসনের পর আফগানিস্তানে বিশিষ্ট পেশাজীবী কর্মরত অনেক নারীই তালেবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন।

তার প্রাক্তন সহকর্মীরা নবীজাদাকে ‘আফগানিস্তানের নির্ভীক চ্যাম্পিয়ন’ হিসাবে প্রশংসা করেছিলেন, যিনি দেশ ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

দেশটির সাবেক আইনপ্রণেতা মরিয়ম সোলাইমানখিল বলেছেন, নবীজাদা ছিলেন ‘একজন সত্যিকারের পথপ্রদর্শক- শক্তিশালী, স্পষ্টভাষী মহিলা যিনি বিপদের মুখেও তিনি যা বিশ্বাস করেছিলেন তার পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন’।

কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনী এই ঘটনার গুরুতর তদন্ত শুরু করেছে।

মুরসাল নবীজাদা ২০১৮ সালে কাবুল থেকে সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তালেবান কতৃক ক্ষমতা দখলের পর্যন্ত মার্কিন মদদপুষ্ট সরকারের ক্ষমতায় ছিলেন। 

তিনি মার্কিন মদদপুষ্ট সরকারের সংসদীয় প্রতিরক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন এবং মানব সম্পদ উন্নয়ন ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে কাজ করেছিলেন।

এই হত্যার প্রতিক্রিয়ায় ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য হ্যানা নিউম্যান বলেছেন, ‘আমি দুঃখিত এবং ক্ষুব্ধ এবং বিশ্বকে জানাতে চাই!’।

আফগানিস্তানের সাবেক মার্কিন-মদদপুষ্ট সরকারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ মুরসাল নবীজাদার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে বলেন, তিনি আশা করেন অপরাধীদের শাস্তি হবে।

মুরসাল নবীজাদার হত্যার ঘটনায় তালেবান প্রশাসন আবারও চরম অস্বস্তিতে পড়েছে কারণ ২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতা দখল করার সময়ে তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নারীদের সমানাধিকার দেওয়ার ও তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করার, কিন্তু সাম্প্রতিক কয়েক মাসে তারা সেই প্রতিশ্রুতি পালনের জায়গায় উল্টো পথে হাঁটা শুরু করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে তালেবান বিরোধীরা।

Leave a comment
scroll to top