দুর্নীতি নয় বরং লোকসভা নির্বাচনের কারণেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি ইন্ডিয়া জোটের। ইডি-র মাধ্যমে কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার ‘করিয়ে’ কেন্দ্রীয় শাসক দল বিজেপি লোকসভা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চাইছেন বলেও অভিযোগ বিরোধীদের। এই শুক্রবার ২২শে মার্চ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি এবং তারসাথে বিরোধীদের হেনস্থার প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে সদ্য প্রতিষ্ঠিত বিরোধী নির্বাচনী জোট ‘ইন্ডিয়া’র প্রতিনিধি দল। এই প্রতিনিধিদলে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দুই প্রতিনিধি ছিলেন বলেও খবর।
আবগারি দুর্নীতি-র অভিযোগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের গ্রেফতারির পর সেই কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করলেন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র প্রতিনিধিরা। বৈঠকের পর বেরিয়ে তাঁরা সাংবাদিকদের জানালেন যে, এই ঘটনায় কমিশনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তাঁরা। কারণ তাদের মতে নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করে বিরোধীদের কোনঠাসা করতে চাইছে কেন্দ্রীয় শাসক দল বিজেপি। বৈঠকের পর বেরিয়ে কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘এখানে প্রায় সব ক’টি বিরোধী দলের প্রতিনিধি রয়েছেন। গত রাতে যা হয়েছে (কেজরীওয়ালের গ্রেফতারি), তা নিয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। এটি কোনও ব্যক্তি বা দলের বিষয় নয়, সংবিধানের সাধারণ কাঠামোর বিষয়। নির্বাচনের জন্য সমান, সমতল মাঠ প্রয়োজন। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল এজেন্সির অপব্যবহার করে সেই সমতল মাঠটির ক্ষতি করছে। এতে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন, সর্বোপরি গণতন্ত্রের উপর প্রভাব পড়ছে।’’
নিজের বক্তব্যের সঙ্গে সংযোজন করে সিঙ্ঘভি আরও বলেছেন, “দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছরের ইতিহাসে কোনও নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে এই প্রথম গ্রেফতার করা হল। ভোটের আগে মাঠ সমতল করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কমিশনকে। তাই এই ব্যাপারে আমরা কমিশনের হস্তক্ষেপ চেয়েছি।” প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতারির আগেও আটবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেজরিওয়ালকে শমন পাঠিয়েছিল ইডি। আটবারই ডাক অগ্রাহ্য করেন তিনি। নবম বার শমন পাঠানোর পরেও তিনি হাজিরা না দিয়ে হাজির হ’ন দিল্লি হাইকোর্টে। আর্জি জানান জেরাকালীন সুরক্ষার। কিন্তু হাইকোর্টে আবেদন করা সত্ত্বেও কেজরিওয়ালকে সুরক্ষা দিতে অস্বীকার করে দিল্লি হাইকোর্ট। এরপর ওই দিনই সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।