খাতায় কলমে মোদীজির গুজরাট ‘ড্রাই স্টেট’ বলে পরিচিত হলেও আদপে সুরাপ্রেমীদের স্বর্গরাজ্য হিসেবে কয়েকদিন আগেই এই নিয়ে অভিযোগ ওঠে। জানা যায় পিছনের দরজা দিয়ে প্রতিবছর মদ বিক্রি করে কয়েকশো কোটি টাকা কোষাগারে তুলছে গুজরাটের বিজেপি সরকার। সরকারি দোকানেও বেশি দামে মদ বিক্রি করা হচ্ছে বলে দাবি করেন কেউ কেউ। এরপরে এ নিয়ে শুরু হয় চর্চা। তারপর অবশেষে ৬৩ বছর পর ঘুচল ‘ড্রাই স্টেটের’ তকমা। শর্তসাপেক্ষে মদ বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছে গুজরাটে।
১৯৬০ সাল থেকে গুজরাটে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ। এযাবৎ ড্রাই স্টেট বলেই পরিচিত ছিল গুজরাট। এবার নিষেধাজ্ঞা তুলে শর্তসাপেক্ষে মদ বিক্রির অনুমতি দিল গুজরাট সরকার। এনিয়ে জারি করা হয়েছে বিজ্ঞাপ্তি। জানা গিয়েছে, শুক্রবার গুজরাট সরকারের আবগারি বিভাগের পক্ষ থেকে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে মদ বিক্রির অনুমতি সংক্রান্ত বিষয়ে জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, কেবলমাত্র হোটেল, রেস্তরাঁ এবং ক্লাবগুলিতে মিলবে মদ।
মদ বিক্রির অনুমতি সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি শুক্রবার গুজরাট সরকারের নারকোটিক্স ও আবগারি বিভাগের পক্ষ থেকে জারি করা হয়। এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে কেবলমাত্র হোটেল, রেস্তরাঁ এবং ক্লাবগুলিতে মিলবে মদ। তারই সঙ্গে এই পরিষেবা কেবলমাত্র গুজরাটের ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স টেক সিটিতে পাওয়া যাবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। জারি করা বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে যে ফিন্যান্স টেক সিটির হোটেল, রেস্তঁরা এবং ক্লাবগুলিকে মদ বিক্রির জন্য দেওয়া হবে পারমিট। তবে, বোতল ভর্তি মদ বিক্রি করা যাবে না। ‘ওয়াইন অ্যান্ড ডাইনে’ই খাবারের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের মদ পাওয়া যাবে বলে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
যদিও জাতির জনকের রাজ্যে নতুন করে মদ বিক্রির সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। গুজরাট কংগ্রেস সভাপতি শক্তিসিং গোহিল জানিয়েছেন, মদের উপর নিষেধাজ্ঞার জন্য রাজ্যের উন্নতি হয়েছিল। বর্তমানের বিজেপি সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিল, তা নিয়ে কৌতূহল প্রকাশ করছেন তিনি। এই সিদ্ধান্তের পিছনে বিপুল পরিমাণ টাকার লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারেরও দাবি করেছেন। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হলে, আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গুজরাট প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।