Close

গুরগাঁও-এ নাবালিকা গৃহশ্রমিককে নগ্ন করে অত্যাচার নিয়োগকর্তার

গুরগাঁও-তে নাবালিকা গৃহকর্মীকে নগ্ন করে রেকর্ড করা হল ভিডিও, করা হল মারধর। সাহায্য চাওয়া আটকাতে মুখে আটকান হল টেপ।

গুরগাঁও-তে নাবালিকা গৃহকর্মীকে নগ্ন করে রেকর্ড করা হল ভিডিও, করা হল মারধর। সাহায্য চাওয়া আটকাতে মুখে আটকান হল টেপ।

ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ২০২১-২২-এর মধ্যে দেশে নারীনির্যাতনের ঘটনা প্রায় ৪ শতাংশ এবং শিশু নির্যাতনের ঘটনা প্রায় ৮ শতাংশ বেড়েছে, এই তথ্য বাইরে এসেছে সম্প্রতি। তার মধ্যেই গুরগাঁও-তে ঘটে গেল নৃশংস ঘটনা। নাবালিকা গৃহশ্রমিককে নগ্ন করে রেকর্ড করা হল ভিডিও, করা হল মারধর। সাহায্য চাওয়া আটকাতে মুখে আটকান হল সেলোটেপ।

পিটিআই এর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, গুরগাঁও-এর সেক্টর-৫৭এর একজন ১৩ বছর বয়সী গৃহশ্রমিককে মারধর করা হয়েছে, পোষা কুকুর লেলিয়ে দিয়ে কামড় খাওয়ানো হয়েছে। এছাড়াও, মেয়েটি যে পরিবারে নিযুক্ত ছিল সেই পরিবার দ্বারা তাকে জোরপূর্বক নগ্ন করে ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছে এবং অপ্রীতিকরভাবে স্পর্শ করা হয়েছে।

নির্যাতিতার মায়ের মতে, ওই পরিবারের গৃহকর্ত্রী শশী শর্মা প্রায়শই লোহার রড, হাতুড়ির মত অস্ত্র দিয়ে ওই নাবালিকাকে আক্রমণ করত। ওই মহিলার দুই ছেলে নাবালিকাকে জোরপূর্বক নগ্ন করে স্পষ্ট ভিডিও রেকর্ড করেছে এবং তাকে অনুপযুক্তভাবে স্পর্শ করেছে বলে অভিযোগ। এর পর মুখ বন্ধকরে মেয়েটিকে একটি ঘরে বন্দী করে রাখা হয়। পরে নিয়োগকর্তার সাথে নাবালিকার মা ওই ঘরে গেলে তাকে উদ্ধার করা হয় বলে পিটিআই জানিয়েছে। নাবালিকার মায়ের অভিযোগ তাকে ৪৮ ঘন্টা কোনও খাবার দেওয়া হয়নি। যেমনটা নির্যাতিতার তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, মেয়েটির হাতে গৃহকর্তারা অ্যাসিড ঢেলে দেয় এবং মুখ খুললে প্রাণে মেরে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়।

ঘটনার সুত্রে জানা গিয়েছে নির্যাতিতা বিহারের বাসীন্দা এবং গত ২৭শে জুন থেকে গুরগাঁও-তে শশী শর্মার বাসভবনে কর্মরত। নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, প্রথম দুই মাসে নিয়োগকর্তার প্রতিশ্রুতিমত মেয়ের মজুরি বাবদ মাসিক ৯০০০ টাকা করে পেয়েছেন তিনি, কিন্তু তার পর থেকে আর মাইনে পাঠানো হয়নি। এমনকি, তিনি তার মেয়ের সাথে দেখা করতে গেলেও নানা অযুহাতে তাকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। “আমি বেশ কয়েকবার আমার মেয়ের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম, কিন্তু তার সাথে দেখা করতে দেওয়া হয়নি বা ফোনেও কথা বলতে দেওয়া হয়নি” তিনি বলেন। এর সাথেই তিনি এটাও জানান যে, তিনি অভিযোগ করতে পারেন শুধুমাত্রই তার নিয়গকর্তার সাথে, যিনি মেয়েটিকে উদ্ধার করার সময় তার সাথে ছিলেন।

এই অভিযোগের পর শশী শর্মা এবং তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে পশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা, আঘাত করা, নারীদের শালীনতা ক্ষুন্ন করা এবং অপরাধমূলক ভয় দেখানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। তিন জনের বিরুদ্ধে পকসো আইনের ধারা ১০ এবং জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্টের ধারা ৭৫এর অধীনেও অভিযোগ আনা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

Leave a comment
scroll to top