সরকারী সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার রয়টার্স জানিয়েছে, তাপপ্রবাহ ও বৃষ্টির কারণে আখের ফলন কমে যাওয়ায় ভারত সাত বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো চিনি রপ্তানি নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে। আন্তর্জাতিক চিনি সংস্থার মতে, দেশটি ব্রাজিলের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চিনি রপ্তানিকারক এবং পণ্যটির বৃহত্তম ভোক্তা ও উৎপাদক। তবে এই মৌসুমে, ২০২১-২২ মৌসুমী রেকর্ড ১১.১ মিলিয়ন টনের তুলনায় দেশটি মাত্র ৬.১ মিলিয়ন টন রপ্তানি করেছে।
একটি সরকারী সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে , “আমরা গত দুই বছরে মিলগুলিকে প্রচুর পরিমাণে চিনি রপ্তানি করার অনুমতি দিয়েছি।” তিনি সংযোজন করেছেন “তবে আমাদের অভ্যন্তরীণভাবে পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং স্থিতিশীল মূল্য নিশ্চিত করতে হবে”। ২০২৩-২৪ মৌসুমে ভারতের চিনির উৎপাদন ৩.৩% কমে ৩১.৭ মিলিয়ন টন হতে পারে, কারণ দেশের আখ উৎপাদনকারী জেলাগুলিতে এই বছর গড় পরিমাণের অর্ধেক বৃষ্টি হয়েছে। “খাদ্য মূল্যস্ফীতি একটি উদ্বেগের বিষয়। চিনির দামের সাম্প্রতিক বৃদ্ধি রপ্তানির কোনোপ্রকার সম্ভাবনাকে নাকচ করে,” অন্য একটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে।
ভারতে খুচরা মূল্যস্ফীতি জুলাই মাসে ৭.৪৪%,যা গত ১৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। যেখানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১১.৫%-এ বেড়েছে, যা সরকারী তথ্য অনুসারে, এটি তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অঙ্ক। এদিকে, অভ্যন্তরীণ সরবরাহ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে চিনি রপ্তানির সম্ভাব্য স্থগিতাদেশ বিশ্বব্যাপী প্রভাব ফেলতে পারে। এই নিষেধাজ্ঞা নিউইয়র্ক এবং লন্ডনের এক্সচেঞ্জগুলিতে বেঞ্চমার্কের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে, যা ইতিমধ্যেই প্রায় বহু বছরের তুলনায় উচ্চতর মূল্যে পণ্যটির ব্যবসা করছে। এটি বিশ্বব্যাপী খাদ্য বাজারে সম্ভাব্য মূল্যস্ফীতি বাড়াতে পারে, রয়টার্স উল্লেখ করেছে। ভারত সরকার জুলাইয়ের শেষের দিকে বাসমতি ব্যাতীত সাদা চালের রপ্তানি স্থগিত করেছে। ভারী বর্ষার বৃষ্টি যার ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল, তারপর এক মাসে দাম ৩% বেড়ে যায়।