Close

টিসিএস-এর নারী কর্মীরা গণ ইস্তফা দিলেন

টিসিএস-এ গণ ইস্তফা দিলেন নারী কর্মীরা। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ হয়েই গণ ইস্তফা।

টিসিএস-এ প্রায় ৬ লক্ষ কর্মী কাজ করেন। যার মধ্যে ৩৫ শতাংশই নারী কর্মী। চলছে বিশ্বজনীন মন্দা। তার জেরেই গত বছর থেকেই একের পর এক আইটি সংস্থাতে শুরু হয়েছে ব্যাপক ছাঁটাই। মেটা থেকে বাইজুস, ইনফোসিস থেকে স্পটিফাই, একাধিক সংস্থা থেকে গত বছর থেকেই শুরু হয়েছে গণ ছাঁটাই। বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দাকে কারণ দেখিয়েই বিভিন্ন সংস্থা ছাঁটাই করেছিল বলে জানা গেছে। তার মাঝে অবশ্য বেশিরভাগ কর্মীই ধরে রেখেছিল টিসিএস। কিন্তু এবার এই সংস্থাও ছাড়ছেন অনেকে।

ভারতের অন্যতম বড় আইটি সংস্থা টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেসে বা টিসিএস-এ আলোড়ন। সংস্থার কর্মীরা কার্যত গণ ইস্তফা দিচ্ছেন। আর সেই তালিকায় বেশিরভাগই মহিলা। টিসিএস সম্প্রতি তাদের কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর রিমোট কাজ করার সুবিধা চলে যাওয়ার জেরেই সেই সংস্থায় গণ ইস্তফা দেওয়া শুরু হয়েছে। টিসিএস কর্তৃপক্ষ একপ্রকার মেনেও নিয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম বন্ধ করার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতেই একাধিক মহিলা কর্মী ইস্তফা দিচ্ছেন।

সূত্রের খবর, গোটা বিশ্বে মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছিল ওয়ার্ক ফ্রম হোম। স্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিয়ে পরিবারের সঙ্গে কাজ করার আবহে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন সিংহভাগ কর্মরত মানুষ। মহামারীর প্রকোপ কমার সঙ্গে সঙ্গে ফের চেনা অফিসে এসে কাজ করার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছিলেন অনেকেই। কিন্তু অনেকেই আবার সামাজিক মানসিকভাবে মানিয়ে নিতে সমস্যা বোধ করছেন। কমফোর্ট জোন ছাড়তে চাইছেন না তারা।

এর মাঝেই অফিসগুলি খরচ কমাতে, কাজের গতি-ছন্দ বাড়াতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম বন্ধ করেছে। আর ওয়ার্ক ফ্রম হোম যখন বন্ধ হয়েছে, তখনই একাধিক সংস্থাতেই দেখা গিয়েছে একলাফে ইস্তফার বহর। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি সমীক্ষা করা হয়, যেখানে উঠে আসে আশ্চর্যজনক তথ্য। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রায় ২৫ শতাংশই জানিয়েছিলেন, আর কখনও অফিসে ফিরতে না হলেই ভাল হত।

Leave a comment
scroll to top