পাঞ্জাবের ভাটিন্ডায় বুধবার, ১২ই এপ্রিল ভোর বেলার থেকে একটি সামরিক কেন্দ্রে গুলি চালনার ঘটনায় নিহত হয়েছেন চারজন জওয়ান। সংবাদ সূত্রে জানা যাচ্ছে যে ভাটিন্ডা মিলিটারি স্টেশনে ভোর ৪.৩০ নাগাদ অজ্ঞাত পরিচয়ের বন্দুকবাজ ঘুমন্ত সেনা জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। এর ফলে এই স্টেশনে অবস্থিত গোলন্দাজ বাহিনীর চার জওয়ান ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
পুলিশের কাছে প্রাথমিক রিপোর্টে (এফআইআর) সেনা বাহিনীর এক মেজর অভিযোগ করেন যে ভোর ৪.৩০ নাগাদ ভাটিন্ডা মিলিটারি স্টেশনে পাজামা-পাঞ্জাবি পরা দুই জন অজ্ঞাত পরিচয়ের দুষ্কৃতী ঘুমন্ত সেনাদের উপর হামলা করে। তাদের একজনের হাতে ছিল সেনা বাহিনীর দ্বারা ব্যবহৃত একটি ইনসাস অ্যাসল্ট রাইফেল ও অন্য জনের হাতে একটি কুড়োল ছিল।
গুলি চালনার পরেই এই দুই দুষ্কৃতী ভাটিন্ডা মিলিটারি স্টেশন থেকে বেরিয়ে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে পালিয়ে যায় বলে মেজর তাঁর অভিযোগে জানান। এর পর পাঞ্জাব পুলিশ, সেনা বাহিনীর পুলিশ ও পাঞ্জাবের কুইক রেস্পন্স টিম (কিউআরটি) সামরিক ঘাঁটিটি ঘিরে ফেলে ও চিরুনি তল্লাশি চালানো শুরু করে।
সংবাদ সূত্রে জানা গেছে তল্লাশি চালানোর সময়ে সেনা বাহিনী ও পাঞ্জাব পুলিশ কয়েকদিন আগে ভাটিন্ডা মিলিটারি স্টেশন থেকে খোয়া যাওয়া একটি ইনসাস রাইফেল উদ্ধার করেছে। তবে এখনো স্পষ্ট হয়নি এই রাইফেল দিয়েই বন্দুকবাজেরা এই সামরিক ক্যাম্পে হামলা করেছিল। সেনা সূত্র সংবাদ মাধ্যম কে জানিয়েছে যে এই ইনসাস রাইফেলটির পূর্ণাঙ্গ ফরেন্সিক পরীক্ষার পরে ও সেটির ম্যাগাজিনের গুলির হিসাব মিলিয়ে দেখেই বোঝা যাবে এই অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছিল কিনা।
ঘটনার প্রায় নয় ঘন্টা পরে, দুপুরে সেনা ও পুলিশ সূত্রে সংবাদ মাধ্যম জানতে পারে যে একজন সেনা জওয়ান কে এই ঘটনায় সন্দেহের কারণে আটক করা হয়েছে। তবে সেই জওয়ানের পরিচয় এখনো পর্যন্ত পাঞ্জাব পুলিশ বা সেনা বাহিনী প্রকাশ করেনি।
বেশ কিছুদিন ধরে পাঞ্জাব জুড়ে খালিস্তানি আন্দোলনের পুনরুত্থানের ঘটনা ঘিরে উদ্বিগ্ন নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রশাসনের কাছে ভাটিন্ডা মিলিটারি স্টেশনে বন্দুকবাজদের আক্রমণের ঘটনা একটা বড় দুশ্চিন্তার কারণ তৈরি করলো। এই হামলার ঘটনার দায় কোনো জঙ্গী সংগঠন এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত নেয়নি।