Close

‘তফসিলিদের কম মদ লাগে, আদিবাসীদের বেশী’, সন্দেশখালি সোরগোল

সন্দেশখালি নিয়ে আবারও ভিডিও ফাঁস। এবার স্টিং ভিডিওর দ্বিতীয় দফা। ভোটে কত মদ, কত অস্ত্র লাগবে বললেন গঙ্গাধর।

সন্দেশখালি নিয়ে আগেই একটি বিতর্কিত স্টিং ভিডিও ফাঁস হয়েছিল। সেখানে নাম উঠে এসেথিল গঙ্গাধর কয়ালের। রবিবার আবারও খবরের শীর্ষে গঙ্গাধর। এবার সন্দেশখালির স্টিং ভিডিওর দ্বিতীয় দফা প্রকাশ হওয়াতেই এই সোরগোল। শনিবার রাতে প্রকাশ হয় এই ভিডিও। এই ভিডিওতে ভোটে কোন এলাকায় কত মদ লাগবে, অস্ত্রই বা কত লাগবে তার হিসেব দিতে শোনা গিয়েছে গঙ্গাধরকে।

প্রসঙ্গত এর আগের ভিডিওটি নিয়ে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন গঙ্গাধর। রবিবারের ভিডিওতে, গঙ্গাধর সম্পূর্ণ হিসাব দিয়ে জানিয়েছেন যে, প্রতি বুথের জন্য পাঁচ হাজার টাকার মদের প্রয়োজন। তিনটি অঞ্চলে ৫০টি বুথ রয়েছে। বিজেপি নেতার হিসাবে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার মদের প্রয়োজন। কোন বুথে মদের বেশি প্রয়োজন, তা-ও জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে ৫০টি পিস্তলের দাবিও করেছেন গঙ্গাধর।

ভিডিওতে দেখা গিয়েছে একজন প্রশ্নকর্তা জিজ্ঞেস করেছেন, ভোট পর্যন্ত গঙ্গাধরের কত পরিমাণ মদ লাগবে? জবাবে গঙ্গাধর বলেন, “আদিবাসী এলাকায় বেশি লাগে। তফসিলি এলাকায় একটু কম। তিনটে অঞ্চলে প্রায় ৫০টি বুথ রয়েছে। সন্দেশখালিতে ১০টি বুথ রয়েছে। সেখানে বেশি মদ লাগবে। এখানে তফসিলি উপজাতি বেশি। মুসলিমরা সংখ্যায় ৩০০ জনের মতো।” এর পরেই প্রশ্নকর্তা গঙ্গাধরকে জিজ্ঞাসা করেন, ভোট পর্যন্ত গঙ্গাধরের মণ্ডলে কত খরচ লাগবে? যদিও গঙ্গাধর প্রথমে জানান, তাঁর এই বিষয়ে সঠিক ধারণা নেই। কিন্তু পরে প্রশ্নকর্তা জানান, এখন থেকে ‘বাজেট’ না করলে শেষ মুহূর্তে সামলে ওঠা যাবে না। তখন গঙ্গাধর বলেন, “তা-ও বুথ প্রতি ৫ হাজার করে ধরুন।”

গঙ্গাধরের হিসাবে, এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মহিলা এবং ৭০ শতাংশ পুরুষ মদ্যপান করবেন। প্রশ্নকর্তা জিজ্ঞেস করেন, এর মধ্যে কি আন্দোলনকারী মহিলারাও রয়েছেন? জবাবে গঙ্গাধর বলেন, “আন্দোলনকারী মহিলারা তো সকলে মদ্যপান করে না।” যিনি প্রশ্ন করছেন, তাঁকে বলতে শোনা যায়, “যারা খাচ্ছে, তারাও আন্দোলনকারীদের মধ্যে থাকবেন তো? খরচও ওর মধ্যেই ধরা হচ্ছে তো?” জবাবে গঙ্গাধর বলেন, “হ্যাঁ, তারা থাকবেই। তবে আলাদা আলাদা। পুলিশের সামনে তারা আসবে না। পুরুষেরা পিছন থেকে সাহায্য করবে।”

সন্দেশখালিতে বিজেপির জয়ের বিষয়ে নিশ্চয়তা দিয়ে গঙ্গাধর প্রশ্নকর্তাকে বলেছেন, “পাঁচ হাজার টাকাটা অনেক কম বলেছি আপনাকে। সবাইকে বলেছি, অন্তত প্রথম লোকসভাটা জেতাও। পরে বিধানসভার ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা। আপনারা রয়েছেন যখন, তখন আমার একটু সুবিধা হয়ে যাবে।” অস্ত্রের হিসেবও দিতে দেখা যায় তাঁকে। তিনি বলেন, “কোরাকাটির জন্য ৩০টা আর মণিপুরের জন্য ২০টা। ৫০টা হলে ঠিক আছে।” পাশাপাশি তিনি এ-ও জানিয়েছেন যে, ওই দুই এলাকার বাসিন্দারা পিস্তল চালাতেও পারেন।

তাঁর কথায়, “কোরাকাটি আর মণিপুরের ওরা অভ্যস্ত। কিন্তু সন্দেশখালিতে বিজেপির কেউ সে ভাবে অভ্যস্ত নয়।” যদিও এই ভিডিও নিয়ে এখনও গেরুয়া শিবিরের কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। রবিবার রাজ্যে এসেছেন নরেন্দ্র মোদী। সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেও তার মুখে শোনা গেল না স্টিং ভিডিওর প্রসঙ্গ।
Leave a comment
scroll to top