Close

সন্দেশখালি: ‘মিথ্যা মামলা’ উল্লেখ করে বিতর্কিত ভিডিও অভিযোগকারিণীর

সন্দেশখালি প্রসঙ্গে ৩২ মিনিটের স্টিং ভিডিও নিয়ে ইতিমধ্যেই টালমাটাল বঙ্গ রাজনীতি। তার মধ্যেই আবারও বিতর্কিত ভিডিও প্রকাশ।

সন্দেশখালি প্রসঙ্গে ৩২ মিনিটের স্টিং ভিডিও নিয়ে ইতিমধ্যেই টালমাটাল বঙ্গ রাজনীতি। তার মধ্যেই আবারও বিতর্কিত ভিডিও প্রকাশ। এইবার ভিডিও প্রকাশ করে আরও এক মামলাকারিনী বললেন ধর্ষণের মামলা ‘মিথ্যা’ তাঈ মামলা তুলে নেবেন তিনি। এইদিন ওই মহিলা ভিডিওতে দাবি করেছেন, তাঁকেও ধর্ষণ করা হয়েছে বলে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল থানায়। না জানিয়ে সাদা কাগজে সই করানো হয়েছিল। এক সপ্তাহ পর তিনি সবটা জানতে পারেন।

অভিযোগকারিণীর আরও দাবি, পরে যখন তিনি মামলা তুলতে চান, তাঁকে ‘হুমকি’ দেওয়া হয়। ভিডিওতে তিনি দাবি করেন এই সবকিছুর নেপথ্যে রয়েছেন মাম্পি দাস এবং পিয়ালি দাস। যদিও পিয়ালি বলেছেন, “রেখা পাত্রের সঙ্গে থানায় গিয়ে উনি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পরে হয়তো পারিপার্শ্বিক চাপে উনি মামলা তুলে নিতে চান। তুলেও নেন। সাদা কাগজে সই করানোর যে কথা হচ্ছে, তা মিথ্যে। থানায় তো সিসিটিভি আছে। সেটা দেখা হোক। শাসকদলের লোকেরা টাকাপয়সার লোভ দেখিয়ে মহিলাদের দিয়ে এ সব বলিয়ে ভিডিয়ো ভাইরাল করছে। এ সবের কোনও সত্যতা নেই। তদন্ত হোক। যদি দোষী প্রমাণিত হই, তা হলে আইন যা শাস্তি দেবে, মাথা পেতে নেব। আর যদি তা না হয়, তা হলে কিন্তু আমি এদের নামে মানহানির মামলা করব।”

এর আগের ভিডিওতে উঠে এসেছিল গঙ্গাধর কয়ালের নাম। গঙ্গাধরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ‘আন্দোলনের স্বার্থে’ তিনি সন্দেশখালির মহিলাদের দিয়ে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ করান এবং এই প্রসঙ্গে সাহায্য করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও গেরুয়া শিবিরের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে এবং বিজেপি নেতৃত্বরা ওই ভিডিও ‘ফেক’। নতুন ভিডিওতে অভিযোগকারিনীর দাবি, তাঁকে রান্নার কাজ করিয়ে টাকা দেওয়া হয়নি। সেই অভিযোগকেই বিজেপির তরফে ধর্ষণের অভিযোগের রূপ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে না জানিয়ে।

অভিযোগকারিণী দাবি করেছেন, “আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমার শাশুড়িকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল মাম্পি দাস আর পিয়ালি দাস। দিল্লি থেকে মহিলা কমিশন এসেছে বলে থানায় নিয়ে গিয়েছিল। থানায় ঢুকিয়ে দিয়ে গেট ফেলে দিয়েছিল। উনি আর বেরোতে পারেননি। অভিযোগ কী জানতে চেয়েছিল, উনি জানিয়েছিলেন যে রান্নার কাজের টাকা পাইনি। এর পর সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়েছিল। এর পর ওখান থেকে চলে যেতে বলেছিল। আমি বাড়ি ফিরে পিয়ালিকে ফোন করে জানতে চেয়েছি। পিয়ালি আমায় বলেছে, ও কোনও ব্যাপার নয়। অভিযোগ ছিল, তাই সই করিয়েছি। তোমরা নিশ্চিন্তে থাকতে পারো। এক সপ্তাহ পরে জানতে পারলাম, তিন-চার জনকে দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করানো হয়েছে। অভিযোগ ছিল, রাতে আমাদের তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেছেন, “যা ঘটেনি, সে সব নিয়ে কেন মামলা লড়ব? আমাদের অত ক্ষমতা নেই। আমরা এ সব ঝামেলার মধ্যে জড়াতে চাই না।” এমনকি তিনি জানিয়েছেন, পিয়ালির কাছে তিনি কথা বলতে গেলে তাঁকে ‘অসভ্য’, ‘ছোটলোক’ বলে অপমান করা হয়। এই নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি রাজ্যে প্রধান বিরোধী দলের নেতৃত্বরা।
Leave a comment
scroll to top