এসএসসি দুর্নীতির সাথেই শিক্ষাক্ষেত্রে প্রাথমিকে নিয়োগ জটিলতা নিয়েও মামলা করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এই মামলার রায় দিয়েছিলেন তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু সেই রায়ের সাথে অসম্মত হল সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৪ সালের টেটে পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৬ এবং ২০২০ সালে দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল। ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১৬,৫০০ শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু অভিযোগ ওঠে ওই শূন্যপদ পুরোটা পূরণ করা হয়নি। ওর মধ্যে ৩৯২৯টি শূন্যপদ রয়েছে।
এই মামলায় হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, প্রাথমিক নিয়োগের মামলাকারীদের মেধার ভিত্তিতে ওই পদে নিয়োগ করা হবে। সেই নির্দেশকে আবার চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যান ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে নতুন নিয়োগের জন্য নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত। সেখানে শুধু ২০১৪ সাল নয়, ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদেরও সুযোগ দেওয়া উচিত।
এই মামলায় সেই সময় হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ওই শূন্যপদগুলির দাবিদার ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরাই। তাই ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরা সুযোগ পাবেন না। হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এর পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ২০১৭-র টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা। ৯ই মে, বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চে। মামলায় এবার নতুন রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে ওই শূন্যপদগুলিতে ভবিষ্যতের শূন্যপদ থেকে নিয়োগ হবে। এই রায়ের পর ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে ওই ৩৯২৯টি শূন্যপদ যোগ করে দেওয়া হয়েছে। এবার সেই অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত গত সপ্তাহে রাজ্যের এসএসসি ‘দুর্নীতি’ সংক্রান্ত মামলাটিও সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। চলতি সপ্তাহে শুনানিতে এই রায়েও স্থগিতাদেশ জারি রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। যদিও চূড়ান্ত রায় ১৬ই জুলাই ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।