মার্চের শেষেই তীব্র কালবৈশাখীতে পর্যুদস্ত উত্তরবঙ্গ। এদিকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও দক্ষিণবঙ্গে সপ্তাহভর বজায় থাকবে তাপপ্রবাহ, জানালো আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। হাওয়া অফিস জানিয়েছে দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহ-এর সাথেই পশ্চিমের জেলাগুলিতেও পারদ চড়বে ৪০° সেলসিয়াসের উপর। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অত্যন্ত কম। মরশুমী বৃষ্টিপাতের ঘাটতি দেশজুড়ে গড়ে ৭ শতাংশ। তার জেরেই এই অবস্থা বলে জানিয়েছে ভারতের মৌসুম ভবনও।
এমতাবস্থায় তাপপ্রবাহের জেরে বাধাগ্রস্থ হবে সাধারণ জনজীবন। তাই পরিস্থিতি মোকাবেলা নিয়ে নির্দেশিকা দিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। এই তাপপ্রবাহের জেরে শিশু থেকে বৃদ্ধ এবং যাঁদের শরীরে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রোগব্যাধি রয়েছে, তাদের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকার দরুণ ডিহাইড্রেশন হওয়াও খুব স্বাভাবিক। যারা ভারী কাজ করেন তাঁদের জন্যও সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
তাপপ্রবাহ-এর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি থাকবে দিনের মধ্যভাগে। সেই কারণেই আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বাইরে বেরোনো সীমিত করতে হবে। অপ্রয়োজনে বাইরে না বেরোনোই ভালো। ওই একই সময়ে রাস্তায় থাকলে তাপপ্রবাহের কারণে শরীরের নানা জায়গায় ব়্যাশ হতে পারে, টান ধরতে পারে হাতে-পায়ে। অপর দিকে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করতে হবে। দেহে জলের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য ওআরএস, লস্যি, ঘোল, ছাঁচ, লেবু-জল পান করাও প্রয়োজনীয়। এছাড়াও হিট-স্ট্রোকের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রখর রোদের মধ্যে কাজ এড়িয়ে যাওয়া উচিত বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। পাশাপাশি দিনের তাপমাত্রা কমলে তবেই ভারি কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে।