গত ১৬ই মার্চ লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ঐ দিন থেকেই নির্বাচন বিধিও জারি হয়ে যায়। তারপর পার হয়েছে মাত্র চারদিন। এই চারদিনেই রাজ্যে নির্বাচন বিধি না মানা নিয়ে লক্ষাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। এই বুধবার ২০শে মার্চ এই বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অতিরিক্ত সিইও অরিন্দম নিয়োগী। এই বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ৭২৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে।
রাজ্যে প্রথম দফায় ভোট হবে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে। এর মধ্যে কোচবিহারে ৫,৭২৬টি বিধিভঙ্গের অভিযোগ এসেছে এবং এটাই সর্বাধিক। চার দিনে আলিপুরদুয়ার থেকে ৩,৪৫৮টি অভিযোগ, জলপাইগুড়ি থেকে ১,৯২৩টি অভিযোগ জমা পড়েছে। অরিন্দম নিয়োগী আরও জানিয়েছেন, রাজ্য, কেন্দ্র এবং কমিশনের ২৪টি সংস্থা মিলে গত ১ মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৮১ কোটি ২১ টাকার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে।
নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণের জন্য সিভিজিল নামের যে অ্যাপ চালু করেছে কমিশন তাতে কেউ কোনও অভিযোগ জানালে কমিশন ১০০ মিনিটের মধ্যে তাঁর সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করে বলে জানিয়েছে কমিশন। সেই অ্যাপেই গত চার দিনে ২৫০টি অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত সিইও। এর মধ্যে কোচবিহার থেকে জমা পড়েছে ৯ টি অভিযোগ। এছাড়াও, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি থেকে ২টি করে অভিযোগ জমা পড়েছে ওই অ্যাপে।
আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে দেশে লোকসভা নির্বাচন শুরু। সাত দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একইভাবে এই সাত দাফার প্রতিটাতেই পশ্চিমবঙ্গের কোনও না কোনও আসনে ভোট রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম দফায় ভোট হবে উত্তরবঙ্গের তিন আসনে। আজ বুধবার থেকে সেখানে মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হয়েছে। চলবে ২৭ মার্চ পর্যন্ত।