রাজ্যের জেলায় জেলায় টোটোর দৌরাত্ম্য। তাই এ বার তাতে লাগাম পরাতে চাইছে পরিবহণ দফতর। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শহরতলি ও গ্রামীণ এলাকায় টোটো চলাচল করে। এমনকি, বিভিন্ন জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রেও এখন যাতয়াতের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে এই টোটোই। শহরতলীতে চালু হয়েছে উবের টোটোও। ক্রমবর্দ্ধমান বেকারত্বের জেরে কর্মহীন যুবকেরা টোটোর মাধ্যমে উপার্জন নির্ভর হয়ে পড়ছে। তাই আর দেরি না করেই এ বার টোটো চালানোর স্পষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করতে চাইছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। কারণ, গত প্রায় এক দশকে মফস্সল এলাকায় সুলভ পরিবহণমাধ্যম হিসেবে টোটোর চাহিদা বেড়েছে।
আর সেই কারণেই টোটোর সংখ্যাও রাতারাতি বাড়তে শুরু করেছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়।এখনও পর্যন্ত রাজ্যে কয়েক হাজার টোটো চলাচল করলেও, তাদের কোনও রেজিস্ট্রেশন নম্বর নেই। নেই কোনও প্লেট নম্বর। টোটোর চালকদের কোনও লাইসেন্সও বাধ্যতামূলক নয়। এই সুযোগ নিয়েই মফস্সল এলাকায় বেড়ে চলেছে টোটোর দৌরাত্ম্য। বার বার জাতীয় সড়কে উঠে আসায় বেড়েছে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যাও।
তাই এ বার রাজ্য টোটো পরিষেবাকে আইনি আওতায় আনতে চান রাজ্যের পরিবহণ দফতরের শীর্ষ কর্তারা। সম্প্রতি নির্দেশিকা জারি করে জাতীয় ও রাজ্য সড়কে টোটো চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ বার টোটো কেনাবেচা-সহ চালানোর জন্যও স্পষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করার লক্ষ্য নির্ধারণ করছে পরিবহণ দফতর।এই বিষয়কে ভিত্তি করে টেটোর বিক্রেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে নির্মাণকারী সংস্থাগুলির সঙ্গেও পরিবহণ দফতর বৈঠকে বসবে বলে জানা গিয়েছে। সঙ্গে কোন পুরসভা ও পঞ্চায়েত এলাকায় কত সংখ্যায় টোটো চলছে, জানতে চাওয়া হয়েছে তার হাল-হকিকত।
নির্মাণকারী সংস্থা ও টোটোর সংখ্যা জানার পরেই পরিবহণ দফতর নির্দেশিকা তৈরি করবে সূত্রের খবর। দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, রাজ্যে টোটোর সংখ্যা জানার পর তার রেজিস্ট্রেশন করানোর বন্দোবস্ত হতে পারে। এত দিন বিভিন্ন জেলায় টোটো চলাচল করলেও, তা জেলার আরটিওদের জানানো হত না। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে, তা আরটিওদের জানানো বাধ্যতামূলক হবে। ফলে সহজেই তা পরিবহণ দফতরের আওতায় চলে আসবে।