ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত হয় করমন্ডল এক্সপ্রেসের বহু যাত্রী। ১২৮৪১ চেন্নাইগামী আপ করমন্ডল এক্সপ্রেসটি শালিমার স্টেশন থেকে দুপুরে ছাড়ে এবং বিকেল সাড়ে ৬টা নাগাদ ওড়িশার বালেশ্বরে পৌছায়। সেখান থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বাহানাগা স্টেশনে প্যান্ট্রিকার ও স্লিপারসহ ১৮টি বগি লাইনচ্যুত হয়। রেল তদন্তসূত্রে জানা যাচ্ছে, করমন্ডলের পাশাপাশি ফিরছিল যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস, তবে তার গতি করমন্ডেলের তুলনায় কম ছিল। কোনো ভাবে যশবন্তপুর-হাওড়া লাইনচ্যুত হয়ে পাশাপাশি ধাক্কা মারে করমন্ডলকে তখনই করমন্ডলের একাধিক বগি মালগাড়ির গায়ে উঠে যায়।
করমন্ডল এক্সপ্রেসে করে বহু রোগী চিকিৎসা করাতে যায় ভেলোরে, এছাড়া শালিমার থেকে ট্রেনটি ছাড়ায় রাজ্যের বহুলোক ও থাকে ট্রেনটিতে। ট্রেনটির ইঞ্জিনের পর স্লিপারক্লাস এবং প্যান্টিকারসহ একাধিক বগি বেলাইন হয়ে আহত হয় শতাধিক মানুষ। প্রথমে স্থানীয়রা উদ্ধারকাজ শুরু করে এবং পরে খবর পেয়ে রেল আধিকারিক, কর্মী এবং পুলিশরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটাতে শিশু, অসুস্থ বৃদ্ধ সহ আহত হয় বহু মানুষ। PTI সূত্রে খবর মৃতের সংখ্যা ৫০ এবং আহত অজানা। প্রত্যক্ষদর্শী থেকে ট্রেনযাত্রীরা জানাচ্ছেন, দুই ট্রেনের সংঘর্ষের পরে একের পর এক কামরা শুধু লাইনচ্যুতই হয়নি। কার্যত দেশলাই বাক্সের মতো উল্টে গিয়েছে। শুধু করমন্ডলই নয় উল্টে গেছে মালগাড়ির পাঁচটি বগিও। ইতিমধ্যে খড়্গপুর থেকে বেশ কয়েকটি উদ্ধারকারী দল রওনা দিয়েছে দুর্ঘটনাস্থলের দিকে।
অন্যদিকেভয়াবহ দুর্ঘটনায় আক্রান্ত যাত্রীদের পরিবারের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেমুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইটারে তিনি জানান, “শালিমার-করমন্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় আশঙ্কিত। বাংলা থেকে বহু যাত্রী রয়েছেন ওই ট্রেনে। আমাদের রাজ্যের বেশ কিছু বাসিন্দা জখম হয়েছেন। ওড়িশা সরকারের সঙ্গে এবং দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি।” আহতদের ৫০হাজার ও নিহতদের পরিবারে ১০লক্ষ টাকা এবং গুরুতর আহতদের ২লক্ষ টাকা সাহায্যের ঘোষনা করে মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া বাংলা থেকে ১২জন চিকিৎসকের দল এবং ২টি শববাহী গাড়ি পাঠানো হয়েছে।