গত একবছর ধরে আক্রমণের মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একের পর এক “মাস্টার স্ট্রোক”। এবছর পুনরায় নোট বদলি ও ২০০০ টাকার নোট বাতিল হওয়ার পর বিতর্ক মাথাচারা দিয়ে উঠেছে। এবার নিশানায় ইনসলভেন্সি অ্যান্ড ব্যানক্রাপ্সি কোড বা IBC।
বকেয়া ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে ইনসলভেন্সি অ্যান্ড ব্যানক্রাপ্সি কোড-এর ব্যর্থতা নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাল কংগ্রেস। প্রশ্ন উঠল আইবিসির আসল উদ্দেশ্য নিয়েও। মোট বকেয়ার তুলনায় দেউলিয়া বিধির (IBC) মাধ্যমে তা আদায়ের পরিমাণ অতি সামান্য।
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের তরফ থেকে প্রশ্ন, এটি রুগ্ন শিল্পকে চাঙ্গা করা, নাকি ‘সংগঠিত ভাবে টাকা লুট’করার আরও একটি রাস্তা খুলে দেওয়াই এর লক্ষ্য ছিল? জলের দরে সংস্থা বিক্রির ব্যবস্থা করে ধনকুবেরদের একচেটিয়া ব্যবসা করার সুবিধা করে দিতে এই IBC কে অস্ত্র করা হয়েছে বলে সন্দেহও প্রকাশ করেছে তারা।
আদানি গোষ্ঠীও IBC-র সুবিধা নিয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। সাংবাদিক বৈঠকে গৌরব বল্লভ বলেন, ২০১৬ সালে চালু IBC-কে বিরাট আর্থিক সংস্কার বলে প্রচার করেছিল কেন্দ্র। দাবি করা হয়েছিল, এতে বকেয়া ঋণ আদায় এবং রুগ্ন শিল্পকে চাঙ্গা করার ছবিটাই বদলে যাবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এটি ১৯৮৫-র সিকা আইন ও বিআইএফআর-এর থেকেও অনেক খারাপ।
তাঁর দাবি, গত অর্থবর্ষের শেষেমোট বকেয়া ঋণের দাবির তুলনায় তা আদায় (পূর্বেকার সমস্ত আদায় ধরে) মাত্র ১৭.৬%। অথচ এ ক্ষেত্রে পুরনো নিয়মে আদায় হয়েছিল ২৫%। বল্লভের অভিযোগ, বলা হয়েছিল IBC-র উদ্দেশ্য বকেয়া আদায়ের পাশাপাশি রূগ্ন সংস্থাকে চাঙ্গা করা। কিন্তু দেউলিয়া আদালতে যাওয়া সংস্থাগুলির মধ্যে ৭৫% গোটানো হয়েছে ও ঋণদাতারা ২০২২-২৩পর্যন্ত ফেরত পেয়েছে বকেয়া ঋণের ৫.৬%। হাতবদলের মাধ্যমে যে ২৫% চাঙ্গা হয়েছে, সেগুলিতে ৩১.৮% আদায় হয়েছে। কাজ গিয়েছে বহু।