২০২২ সালের জুন মাসে কলকাতা হাইকোর্ট সিকিওরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI) কে নির্দেশ দিয়েছিল তিন মাসের মধ্যে সারদা গ্রুপের সম্পত্তি নিলাম করতে হবে। এদিকে বাংলা, অসম, ওড়িশায় ছড়িয়ে ছিল সারদার সম্পত্তি। সেই বহুমূল্য সম্পত্তির একাংশ এবার নিলাম হবে। এবার জানা গেল, সারদা গোষ্ঠীর বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তি নিলাম হবে ১৭ই জুলাই। মানি কন্ট্রোলের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া সারদা গ্রুপের ৬১টি সম্পত্তি নিলামে তুলবে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, নিলামে যিনি জিতবেন তাঁকেই সম্পত্তি হস্তান্তরের টাকা দিতে হবে। গ্রাহকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছিল সারদা গ্রুপ। দেশ জুড়ে ছড়ানো তাদের সম্পত্তি। তদন্তের পর সেই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। এবার সেই সব সম্পত্তির একাংশ নিলামে তোলা হবে। সূত্রের খবর, আগামী ১৭ জুলাই সারদার বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তি নিলাম করা হবে। সম্পত্তি রিজার্ভ প্রাইস ধরা হয়েছে ২৬.২২ কোটি টাকা। এই সম্পত্তির মধ্যে সারদার জমিও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, এই সারদা গ্রুপের আওতায় ২৩৯টি বেসরকারি কোম্পানি ছিল। প্রায় ১.৭ মিলিয়ন আমানতকারীর কাছ থেকে সব মিলিয়ে প্রায় ৪,০০০ কোটি টাকা তুলে ছিল সারদা গ্রুপ। কার্যত একেবারে পথে বসে যায় একের পর এক পরিবার। গোটা বাংলা জুড়ে হাজার হাজার গ্রাহক ছড়িয়ে ছিল। মোটা টাকা ফেরৎ পাওয়ার আশায় কষ্টের টাকা তারা তুলে দিয়েছিলেন সারদার হাতে। কিন্তু অনেকেই সেই টাকা ফেরৎ পাননি। গ্রেফতার হয়েছিল সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। এখনও তিনি জেলে।
গত ১২ জুন এইনিয়ে নোটিশ জারি করা হয়েছিল। সেই নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছিল ই-অকশন হবে সারদার সম্পত্তির। তবে সেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল, যিনি এই সম্পত্তি কিনবেন তাকে নিজে ই-নিলামে অংশ নিতে হবে। কোনও তৃতীয় ব্যক্তি হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। যেমন, অনুমোদিত এজেন্ট বা প্রতিনিধি থাকলে হবে না। অনেকের মতে, SEBI এই নিলামে অত্যন্ত স্বচ্ছতা বজায় রাখার চেষ্টা করছে। সি ওয়ান ইন্ডিয়ার উদ্যোগে এই নিলামপর্ব হবে। এই নিলামে SEBIকে সহায়তা করবে কুইক্যর রিয়েলিটি। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে এই নিলামপর্ব।
চলতি বছর সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের একঠি ছিঠি বাইরে আসে যেখানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম পাওয়া যায়। চিঠিতছ লেখা ছিল, ২০১১-১২ সালে বহুতল নির্মাণের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছিল কাঁথি পৌরসভা। তবুও তারা বহুতলের প্ল্যান পাশ করেনি। তার আগেও নাকি ৯০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। এই চিঠিকে কেন্দ্র করে কলকাতা হাইকোর্টে পিটিশন দেয় কুনাল ঘোষের আইনজীবী। ইতিমধ্যেই, গত ৩১শে মে কলকাতা হাইকোর্ট সুদীপ্ত সেনের ওই চিঠির উপর তদন্ত করতে বলেন CBIকে।